আমাকে লুকিয়ে রাখো, তোমার নিঃছিদ্র আব্রুর উষ্ণ চাঁদোয়ায়।
মজবুত করো রসালো নির্ভার ষ্ফীত চোয়ালের নিখুঁত উৎসবে।
আকাশ সমান ভারী ডানা, অবরুদ্ধ মেঘের গুমোটে।
ক্রুশ–বিদ্ধ অদৃশ্য ব্যথায় হৃষ্টপুষ্ট হাওয়ায়,
বিকলাঙ্গ নিথর নীড়ে, মেঘ কেবল হাঁটে।
তোমার গভীরতার অতলে জন্ম দাও–
যেখানে ঘুমাতে পারি নক্সীকাঁথা মুড়ে।
কতকাল ঘুমাতে পারিনি, মন পচা কষ্টরা কেবল হাতুড়ি পেটায়।
অচ্ছুত অন্ধকারে ফোঁটা ফোঁটা দহন ব–দ্বীপ ভাঙে।
এখন কেবল দু–জনের মুখোমুখি।
হারানো আমি, আর বর্তমান, যেন বড়শী গাঁথা মাছ।
অনুতাপে শুকিয়ে যায় দক্ষিণের শৈত্য প্রবাহ।
নিমিষে পাল্টে গিয়েছে বহতা সময়।
হঠাৎ নেই হয়ে যাবে তামাটে রংয়ের শেকড়।
ভুলের খেসারত দিচ্ছে জ্বলে পুড়ে অঙ্গার হয়ে –
নীরব দীর্ঘ নিশ্বাসের ভায়োলিন।
হামাগুড়ি দিয়ে আসছে অমাবশ্যার কালো।
সূর্য ডুবে গেছে অতল সমুদ্রের হাত ধরে।
কোলাহল নেই, মহা নিমগ্ন আজ নিশীথের বিহু।
ফিরে এসো হে মানবতা।
ঘুমন্ত পৃথিবী জেগে উঠুক, নবোউদ্যমে সিঁড়ি বেয়ে।
তোমার হাত ধরে যেতে চাই দূরে বহুদূরে…শেষ প্রান্তে।