‘মানবজাতির জন্য সুমহান আদর্শের শাশ্বত প্রতীক প্রিয় রাসুল (দ.)’

রাউজানে মুনিরীয়া যুব তবলীগের এশায়াত মাহফিল

| শনিবার , ৫ অক্টোবর, ২০২৪ at ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

মানবজাতির জন্য সুমহান আদর্শের শাশ্বত প্রতীক হলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সমগ্র মানবজাতিকে হেদায়তের জন্য যিনি ধরার বুকে প্রেরিত হয়েছেন।

আল্লাহর মনোনীত একমাত্র দ্বীন ইসলামকে ধরার বুকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রিয় রাসূল (.) এর পর আর কোন নবীরাসূল পৃথিবীতে আগমন করবেন না। মানুষকে হেদায়তের জন্য যুগে যুগে নবীর ওয়ারিছ হিসেবে আউলিয়ায়ে কেরামগণ পৃথিবীতে এই মহান দায়িত্ব পালন করবেন। প্রিয় রাসূল (.) এর পূর্ণ অনুসরণঅনুকরণ করে নিজের জীবন পরিচালিত করার বেনজির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন খলিফায়ে রাসূল (.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আন্‌হু। নবীজির সুন্নাতকে নিজের জীবনে বাস্তবায়িত করেছেন। সিনাসিনা তাওয়াজ্জুহ ও ফয়েজে কুরআনের নূর প্রদানের মাধ্যমে মানুষের অন্ধকার ক্বলবকে আলোকিত করে হেদায়াতের পথে পরিচালিত করেছেন। পাপাচারে নিমজ্জিত যুব সমাজকে নবীজির আদর্শে জীবন গঠন করার প্রেরণা দিয়েছেন, হুব্বে মোস্তফার শিক্ষা দিয়েছেন। নফসানিয়তকে (পশুত্ব) অবদমিত করে ইনসানিয়ত (মনুষ্যত্ব) প্রতিষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা রয়েছে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফে। প্রিয় রাসূল (.) এর পথে এবং মতে খলিফায়ে রাসূল (.) হযরত গাউছুল আজম (রা.) নিজে যেমন সমস্ত জীবন অটল এবং অবিচল ছিলেন স্বীয় অনুসারীদেরকেও তার শিক্ষা দিয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার বাদে আসর হতে রাউজান জলিল নগর বাস স্ট্যান্ডে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ উত্তর রাউজান ১নং শাখার উদ্যোগে পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন ও খলিলুল্লাহ, আওলাদে মোস্তফা খলিফায়ে রাসূল (.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর স্মরণে আয়োজিত এশায়াত মাহফিলে ধর্মপ্রাণ মুসলিম মিল্লাতের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মোর্শেদ, আওলাদে রাসূল (.) হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মাননীয় মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী ছাহেব এসব কথা বলেন।

মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন মাওলানা কাজী মুহাম্মদ আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, মাওলানা মুহাম্মদ ফোরকান, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন নূরী, মাওলানা মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানি ফয়সাল। মিলাদ কিয়াম শেষে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতি এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা খলিফায়ে রাসূল (.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে চান দুই নেতা
পরবর্তী নিবন্ধদেশে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে আরও ৩১৭ রোগী