আমরা সূর্যসেনকে দেখিনি। বীরত্বের গাথা শুনেছি। চাটগাঁর বরেণ্য অনেককে হারিয়েছি। অনুভবে স্মরণ করছি প্রতিনিয়ত। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আপনি বিশ্ববরেণ্য একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ও চট্টগ্রামের অহংকার। আপনি আপনার পদায়নে ৫ মাস অতিক্রম করলেও আমাদেরকে দেখতে আসলেন না। আপনাকে সম্মাননা জানানো ভাগ্যে জুটল না। আমরা কি অপরাধ করেছি? ৬০ লক্ষ মানুষ আপনার দিকে চেয়ে আছে তীর্থের কাকের মতে। কিন্তু জন্মভূমির মায়া ভুলে আর কতদিন নিষ্ঠুরভাবে সময় কাটাবেন? মনে হয় রাষ্ট্র মেরামত করতে আপনি বিভোর হয়ে সকল মায়া ছিন্ন করেছেন। ভাবতেই অবাক লাগছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে চট্টগ্রাম পেল দেশের সর্বোচ্চ মর্যাদার আসনের অলংকরণ। প্রত্যেকেই নিজের ঘরে খেয়াল করে, জয় নিয়ে ঘরে আসে, কিন্তু আপনি আসলেন না। আপনি আসলে হয়তো চট্টগ্রামের রূপ পাল্টে যেতে পারে। আপনার শুভ আগমনে হয়তো চট্টলবাসীদের প্রাণ সঞ্চার ঘটবে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হবে বহু তরুণ–তরুণী। ব্যবসায়ীরা অনুপ্রাণিত হবে। ছাত্র শিক্ষকরা ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করবেন। কত কিনা মনের মধ্যে জমিয়ে রেখেছে চট্টগ্রামবাসী। এই যে ত্রুটি বিচ্যুতি সব এক নিমেষে সমাধান হয়ে যাবে। আপনি আসুন আমাদের দেখে যান। নাড়ীর টানে চট্টগ্রামকে একনজর দেখে যান। নোবেল বিজয়ী চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রধান দায়িত্বটুকুর প্রাপ্তি হিসেবে চট্টগ্রামবাসী প্রত্যাশা করে আপনি এমন কিছু উপহার দিয়ে যাবেন আপনার মেয়াদকালের মধ্যে যে উপহার যুগ যুগ ধরে চিরস্মৃতি হয়ে থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।