মাধ্যমিকে রেকর্ড পাসের ৩ কারণ বললেন শিক্ষামন্ত্রী

পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন আগামী বছর জুন-জুলাইয়ে এসএসসি-এইচএসসি

| শুক্রবার , ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ

মহামারীকালেরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে রেকর্ড ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ পাসের পেছনে তিনটি কারণ খুঁজে পাওয়ার কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। গতকাল বৃহস্পতিবার ফলাফল প্রকাশের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মহামারীর কারণে এবার কেবল তিনটি নৈর্বচনিক বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সেই পরীক্ষা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপর। প্রশ্নপত্রে বিকল্প ছিল অনেক বেশি। এসব কারণেই হয়ত আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি ভালো করেছে, তুলনামূলকভাবে অন্য সময়ের চেয়ে। গতকাল এসএসসি ফলাফল প্রকাশের পাশাপাশি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, বিগত দশ বছর ধরে ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও করোনা মহামারির কারণে এ বছর পিছিয়েছে কয়েক মাস। তবে পরিস্থিতি ভালো থাকলে আগামী বছর জুন-জুলাই মাসে এ দুই পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, ২০২২ সালের এসএসসি এবং এইচএসসির জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে করা হবে। সেই সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপরে যদি বর্তমান পরিস্থিতি খারাপের দিকে না যায় তাহলে বছরের মাঝামাঝি এসএসসি এবং তার পরপরই এইচএসসি পরীক্ষা নেব। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হওয়া এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ শিক্ষার্থী, যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। দীর্ঘ অপেক্ষার পর স্কুলের গণ্ডি অতিক্রম করা এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে, যা উত্তীর্ণের মোট সংখ্যার ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ। এই হিসাবে এবার পাসের হার বেড়েছে ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ পয়েন্ট। আর পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৪৭ হাজার ৪৪২ জন। গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছিল ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন।
দীপু মনি বলেন, পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে, সেটা ভালো। আবার এই সময়ে মানসিক চাপের মধ্য দিয়েও আমাদের পরীক্ষার্থীরা গিয়েছে, পারিবারিক থেকে শুরু করে নানান ধরনের সমস্যা ছিল। কোভিডের কারণে বাড়তি অনেক চাপ ছিল, অনেক ট্রমার মধ্য দিয়েও গিয়েছে, ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজন বা পরিবারের কাউকে হারিয়েছে তারা। এই রকম অনেক অবস্থা ছিল, সেগুলোকেও আমাদের বিবেচনায় নেওয়ার প্রয়োজন আছে।
মহামারীর মধ্যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে তিনটি করে নির্বাচিত বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে। বাকি আবশ্যিক বিষয়গুলোর মূল্যায়নে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে পরীক্ষার্থীদের জেএসসি-জেডেসির ফলাফল, যেটাকে বলা হচ্ছে ‘সাবজেক্ট ম্যাপিং।’ সব মিলিয়েই এবারের পরীক্ষা ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেগুলো নৈর্বাচনিক বিষয়, সেগুলোর তো পরীক্ষা হয়েছে। যেগুলো আবশ্যিক বিষয়, যেমন ধরুন বাংলা বা ইংরেজিতে সরাসরি জেএসসি-জেডেসিতে যে নম্বরগুলো পেয়েছে, সেগুলো নেওয়া হয়েছে। চতুর্থ বিষয়ের ক্ষেত্রে, যে তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, সেগুলো ছাড়া চতুর্থ বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ জেএসসি বা জেডেসি পর্যায়ের আবশ্যিক বিষয় থেকে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজ থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন
পরবর্তী নিবন্ধদিনভর গোলযোগ, গোলাগুলি