আগ্রাবাদ বেপারী পাড়া তালিমুল করিম আদর্শ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ইয়াছিন (৩৮)। বিয়ে করেছেন এ পর্যন্ত ছয়টি। কদিন আগে কুমিল্লার দেবীদ্বারের এক তরুণীর সাথে তার টেলিফোনে যোগাযোগ হয়। এরপর তাকে বিয়ে করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় ওই তরুণীর বাবা দেবীদ্বার থানায় ইয়াছিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গত মঙ্গলবার রাতে ওই মামলায় সিডিএ বলির পাড়ার ২ নম্বর গলি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ।
এ সময় তার খাটের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকানো ১০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে এর আগেও একটি মাদকের মামলা রয়েছে। আছে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলাও। ইয়াছিনের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনায়। দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামে বসবাস করে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছিলেন তিনি।
ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন আজাদীকে জানান, দেবীদ্বার থানার মামলায় সেখানকার পুলিশের অনুরোধে আগ্রাবাদ সিডিএ বলির পাড়ার ২নং গলিতে মাহবুবুল আলমের ভাড়া ঘরে অভিযান চালিয়ে ইয়াছিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ফাঁস হয় কুকীর্তির কথা।
ওসি বলেন, ইয়াছিন বেপারী পাড়া তালিমুল করিম আদর্শ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। এই মাদ্রাসায় ৮০ জন শিক্ষার্থী এবং ৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। অধ্যক্ষ হওয়ায় এলাকায় তার পরিচিতি ভাল এবং ঝুঁকিও কম। তাই এই পরিচয়ের আড়ালে ইয়াবা বিক্রি করেন তিনি। পাশাপাশি যৌন সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নিজেও ইয়াবা সেবন করেন। ২০১১ সালে ইয়াবা বিক্রি করতে গিয়ে একবার গ্রেপ্তার হন ইয়াছিন। তখন দেড় মাস জেলও খাটেন।
জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াছিন পুলিশকে জানান, বড়লোক হওয়ার খুব ইচ্ছে তার। মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে তিনি যে টাকা পান, তা দিয়ে তার সংসার ভালো মতো চলে না। নিজের কোনো ইচ্ছে পূরণ করতে পারেন না। তাই তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি ইয়াবা বিক্রি করতেন। ইয়াছিনের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় মাদক আইনে আরেকটি মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।