আনোয়ারায় মো. ওমাইর (১০) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শিশু উপজেলার বারশত ইউনিয়নের কালিবাড়ী এলাকার দারুত তাহফিজ বালক–বালিকা মাদরাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র। গতকাল শুক্রবার দুপুরে মাদ্রাসার এক শিক্ষকের রুম থেকে পুলিশ শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহত শিশু বটতলী ইউনিয়নের আইর মঙ্গল গ্রামের মো. সৈয়দের পুত্র। তবে কি কারণে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি।
মো.ওমাইরের পিতা মো. সৈয়দ বলেন, দারুত তাহফিজ বালক–বালিকা মাদরাসার পরিচালক মৌ. আবদুর রহমান আমার আপন শ্যালক। এই মাদ্রাসায় আমার ৫ ছেলে মেয়ের ৩ জনই পড়াশুনা করে। তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে ওমাইর বাড়ির পাশের একটি ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত। চলতি মাসের জানুয়ারির ৫ তারিখ তাকে এই মাদ্রাসার নাজরা বিভাগে ভর্তি করি। গত শনিবার সে বাড়ি থেকে আসে। কিন্তু আজ দুপুরে খবর পাই গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ সবার কাছে জানতে চেয়েও ঘটনার কোনো কারণ খুঁজে পাইনি।
ওমাইরের মামা মাওলানা আব্দুর রশিদ বলেন, গতকাল ওমাইরের শরীরে একটু জ্বর ছিল। তাকে ওষুধ কিনে খাওয়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সে একটু তার মায়ের সাথে কথা বলতে চেয়েছিল। তাছাড়া শুক্রবার জুমার নামাজের পর আমার বোন (ওমাইরের মা) মোরশেদা বেগম দেখতে আসার কথা ছিল। কোনো কারণ ছাড়াই সে এই ঘটনা কেন ঘটালো কেউ বলতে পারে না।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আনোয়ারা থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. সোহরাওয়ার্দী জানান, মাদ্রাসার সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় সকাল আটটার সময় ওমাইর নাস্তা করে গলায় গামছা ঝুলিয়ে হাঁটাহাঁটি করছিল। ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ঘুমানোর সময়। এরই মাঝে ওমাইর ছুটিতে যাওয়া এক শিক্ষকের রুমে ঢুকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। ঘটনার পারিপার্শ্বিক যাচাই বাছাই করে কি কারণে সে আত্মহত্যা করলো তা জানা যায়নি।
আনোয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।