মাদক ব্যবসায়ী নারীর মাদক বিরোধী প্রচারণা

আদালতের রায় মেনে চলার অঙ্গীকার

বান্দরবান প্রতিনিধি | শনিবার , ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৭:২৩ পূর্বাহ্ণ

‘মাদক সমাজকে ধ্বংস করে। মাদক উৎপাদন, সেবন, রক্ষণ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ইত্যাদি দণ্ডনীয় অপরাধ। আসুন মাদকমুক্ত সমাজ গড়ি’ এই ধরনের মাদক বিরোধী স্লোগান সম্বলিত ব্যানার নিয়ে বান্দরবান পুলিশ সুপার কার্যালয়ের প্রবেশমুখে দাঁড়িয়েছিলেন গোলাচিং মারমা। ৯ দিন ধরে আদালতের শর্তপূরণে তিনি বান্দরবানে এ ধরনের মাদক বিরোধী প্রচারণা চালিয়েছেন। গতকাল ছিল তার প্রচারণার শেষ দিন। বান্দরবানে মাদকদ্রব্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ওই মাদক ব্যবসায়ী গোলাচিং মারমাকে কারাগারে না পাঠিয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ তিনটি স্থানে নয় দিন মাদক বিরোধী প্রচারণাসহ বেশ কয়েকটি শর্ত পূরণের আদেশ দেন আদালত। সংশোধন হওয়ার সুযোগ দিয়ে আদালতের ব্যতিক্রমী এই রায়টি দিয়েছেন বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: আবু হানিফ। গত ৯ দিন ধরে আদালতের নির্দেশিত প্রবেশনের শর্তের ভিত্তিতে মাদক বিরোধী ব্যানার নিয়ে জেলা জজ আদালত, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে মাদক বিরোধী প্রচারণায় অংশ নেন গোলাচিং মারমা নামের ওই নারী। সাজাপ্রাপ্ত গোলাচিং মারমা জানান, আদালতের নির্দেশিত আদেশ মতে তিনি মাদক বিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছেন। আগামীতে তিনি আর কখনো মাদক গ্রহণ, পরিবহন এবং বিপণনের কাজ করবেন না। এছাড়া অন্যান্য শর্তও তিনি যথাযথভাবে পালনের অঙ্গীকার করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট খলিলুর রহমান বলেন, প্রবেশনের অধ্যাদেশ অনুযায়ী এধরনের আদেশ আগেও হয়েছে।
তবে গোলাচিং মারমার ক্ষেত্রে বিজ্ঞ আদালত ব্যতিক্রমী রায় দিয়েছেন। এমন রায়ে নিশ্চয়ই দোষী ব্যক্তি সংশোধন হবেন এমন প্রত্যাশা করি। জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১৮ নভেম্বর বান্দরবান জেলা সদরের রেইসা থলিপাড়া এলাকার মম সেনের স্ত্রী গোলাচিং মারমা বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ এর ২২(গ) ও ২০ ধারা, বিনা লাইসেন্সে মাদকদ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহার যোগ্য যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধ এবং ৩০০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো: মনিরুজ্জামান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবলুয়ার দীঘির খানকায় খাজা গরীবে নেওয়াজের ওরশ কাল শুরু
পরবর্তী নিবন্ধপ্রথম মডেল কমিউনিটি ক্লিনিক পেল চকরিয়ার বরইতলীবাসী