মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জেরে নগরীর বাকলিয়া থানাধীন কল্পলোক আবাসিকের খাল পাড়ের পূর্ব পাশে মো. মহিউদ্দিন (৪৫) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়। গত ২৫ জুলাই শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে গাফফারের কলোনির সামনে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মহিউদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ।
এই ঘটনায় নগর গোয়েন্দা পুলিশ গত রোববার রাতে বাকলিয়া থানাধীন রাহাত্তারপুল খালপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘাতক–মাদক ব্যবসায়ী মো. সুমনকে (১৯) বিদেশি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করে। ডিবি পুলিশের এসআই ফজলে রাব্বি কায়সারের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে সিএমপির ডিবি উত্তর–দক্ষিণ বিভাগ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করে।
গ্রেপ্তারকৃত মো. সুমন কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর এলাকার মো. জামালের ছেলে। সে দক্ষিণ বাকলিয়া রাহাত্তারপুল দৌলত খানের কলোনিতে ভাড়া বাসায় থাকতো। এ সময় ঘটনায় জড়িত মো. আসিফ (২৬) নামে আরেকজন পালিয়ে যায়। এ সময় সুমনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও তিন রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।
ডিবি পুলিশ জানায়, সুমন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে আসিফ ও সুমন দুজন মিলে মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মো. মহিউদ্দিনকে (৪৫) বিদেশি পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করে। পরে খাল পাড়ের পূর্ব পাশে আবু সওদাগরের কলোনির পিছনে ইটের স্তুপের নিচে লাশ লুকিয়ে তারা আত্মগোপন চলে যায়।
এর আগে গত ২৫ জুলাই শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে বাকলিয়া থানাধীন কল্পলোক আবাসিকের গাফফারের কলোনির সামনে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মহিউদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ। পরদিন নিহতের ভাই বাদী হয়ে বাকলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং–৪৪/২৫, ধারা ৩০২/৩৪)।
নিহত যুবক মহিউদ্দিন আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়া ইউনিয়নের মিছির বাপের বাড়ির মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। তিনি বাকলিয়া থানাধীন কালামিয়া বাজার মসজিদ গলির সৈয়দের বাপের বাড়িতে বসবাস করতেন বলে জানা গেছে।