দেশ ও সমাজে মাদকের আগ্রাসন দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমাদের দেশ ও সমাজে যেভাবে প্রকাশ্যে মাদকের ক্রয়–বিক্রয় চলছে, তা খুবই উদ্বেগজনক। মাদকসেবী আর মাদককারবারিদের অনৈতিক বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে হেন কোনো অপকর্ম নেই, যা তারা করছে না। দেশে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো–টলারেন্স–নীতি থাকার পরও কীভাবে দেশে মাদকের বিস্তার ঘটে? গাঁজা, মদ, হেরোইন, আফিম, চরস, মরফিন, কোকেন, প্যাথেডিন, মারিজুয়ানা, এলএসডি, ইলেক্সার, ফেনসিডিল ইত্যাদিকে ছাড়িয়ে এখন এই জগতে ছড়ি ঘুরাচ্ছে ইয়াবা। নতুন আরেকটি মাদকের নাম আইস। ইয়াবার তুলনায় অন্তত চার–পাঁচ গুণ বেশি মেথঅ্যামফিটামিন থাকায় এটি অনেক বেশি বিষাক্ত। এই সব মাদকের ভয়াল থাবায় পারিবারিক অশান্তি–সামাজিক অস্থিরতা ইত্যাদি লেগেই রয়েছে। শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নই শেষ কথা নয়, মানুষের নৈতিক উন্নয়নের প্রতিও নজর দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। যেই বুদ্ধি ও বিবেকের কারণে আমরা আশরাফুল মাখলুকাত –সেই বুদ্ধি ও বিবেকের প্রতিফলন আমাদের সমাজগঠনে ঘটছে কি না, তা খতিয়ে দেখার সময় এসেছে। তাই, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনিমার্ণে আগামীর “স্মার্ট বাংলাদেশ” গড়তে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা সময়ের দাবী।
এম.আবু ছৈয়দ চৌধুরী
নিমতলা, বন্দর, চট্টগ্রাম।