মানুষ আজীবন আনন্দের খোঁজ করে। এ আনন্দ খুঁজতে গিয়ে কখনো কখনো ভুল রাস্তায় চলে যায়। মাদক তেমনি একটি ফাঁদ যা ক্ষণিকের সুখের বিনিময়ে ধ্বংস করে স্বাস্থ্য। মানসিক চাপ, হতাশা, একাকীত্ব, ব্যর্থতা, প্রত্যাখ্যান, এমনকি কৌতূহলের কারণেও মানুষ মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ে। মাদক মস্তিষ্কে ডোপামিন ক্ষরণ করে, যা ক্ষণিকের আনন্দ ও সুখের অনুভূতি দেয়। কিন্তু মস্তিষ্ক ও শ্বাসযন্ত্রের ক্ষমতা ও শরীরের সূক্ষ্ম অনুভূতি কমিয়ে দেয়। মাদকের বিষাক্ত প্রভাবের কারণে লিভার, কিডনি, ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘমেয়াদী মাদকাসক্তির ফলে দেখা দেয় ক্যান্সার, এইডস, যক্ষ্মার মতো ভয়াবহ রোগ। এছাড়াও আবেগ নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে না, উগ্র আচরণের জন্ম দেয়, মানসিক পীড়ন বাড়িয়ে দেয়, আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেয়। স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যাহত হয়।
পরিবারের সদস্যদের মানসিক শান্তি নষ্ট করে। মাদকাসক্ত ব্যক্তি সমাজের কাছে হয়ে পড়ে বোঝা। সমাজের উন্নয়নে তাদের অবদান তো থাকেই না; বরং, বেড়ে যায় অপরাধপ্রবণতা, নষ্ট হয় সমাজের সুশৃঙ্খলা। তাই সকলকে সোচ্চার হতে হবে যাতে সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করা যায়।
কাজী মালিহা আকতার
শিক্ষার্থী, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম কলেজ।