চান্দগাঁওয়ের খাজা রোডে একটি চুরির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে নগরীর একটি বড় চোর চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এ চক্রের অন্যতম সদস্য ছোট মানিক (২৬)কে, যে চুরির পর পুলিশের ভয়ে মাথা ন্যাড়া করেও শেষ রক্ষা হয়নি। এসময় তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে চোরাই মালামালসহ আরো এক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ চোরদের কাছ থেকে নগদ ৪২ হাজার টাকা, একটি পালসার মোটর সাইকেল ও একটি টিভি জব্দ করেছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. আবু বক্কর সিদ্দিক আজাদীকে বলেন, গত ১৮ মে গভীর রাতে চোরের দল চান্দগাঁওয়ের খাজা রোডের নবী হোসেনের বাড়ির একটি ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ২১ লক্ষ টাকা, ১২ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায়। একটি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে তদন্তকারী দল চোর চক্রকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযানে নামে। কিন্তু চোর চক্র অত্যন্ত চালাক ও কৌশলী হওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করতে বেগ পেতে হয় তদন্তকারী দলকে। তিনি বলেন, চুরির ঘটনায় জড়িত ছোট মানিক গ্রেপ্তার এড়াতে মাথা ন্যাড়া করে ফেলে। কিন্তু মাথা ন্যাড়া করেও সে পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।
বৃহস্পতিবার রাতে বায়েজীদ বোস্তামী থানাধীন শহীদ পাড়া চার রাস্তার মাথা মো. হোসেনের কলোনি থেকে এমরান হোসেন মানিক প্রকাশ ছোট মানিককে (২৬) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। চুরির টাকায় একটি বাজাজ পালসার মোটর সাইকেল কিনে মানিক। অপর এক চোর কিনে রঙিন টিভি। পুলিশ ছোট মানিকের থেকে মোটর সাইকেল ও ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে। পরে মানিকের স্বীকারোক্তি মতে পাঁচলাইশে তার বড় ভাই কামরুলের বাসায় অভিযান চালিয়ে দরজা ভাঙার সরঞ্জাম, নগদ ২০ হাজার টাকা ও ৭৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সাথে কামরুল হাসানের স্ত্রী আরেফা বেগম সুমিকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর নগরীর ২নং গেইট আলফালাহ গলি এলাকায় চোরদলের অপর সদস্য বড় মানিকের ভাড়া বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানকালে বড় মানিককে পাওয়া না গেলেও, উদ্ধার করা হয়েছে চুরির টাকায় ক্রয় করা একটি চকচকে নতুন এলইডি টেলিভিশন ও ১৭ হাজার টাকা। গ্রেপ্তারের পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, কামরুল ও ছোট মানিক বিভিন্ন চোরদের আশ্রয় প্রশয় প্রদান করে এবং তাদের কাছে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ও ঘর ভাঙার সরঞ্জামাদিসহ চুরি করার কাজের প্রাথমিক খরচ প্রদান করে।