মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষণ প্রতিরোধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন

| বুধবার , ২৯ মে, ২০২৪ at ৭:৫০ পূর্বাহ্ণ

আমি চট্টগ্রাম মহানগরের ডবলমুরিং থানাধীন ২৮ নং পাঠানটুলী ওয়ার্ডের মগপুকুর উত্তর পাড় এলাকার একজন স্থানীয় বাসিন্দা হই। উপরে বর্ণিত আমার এলাকাটি একটি জনবহুল এলাকা এবং পাঠানটুলী সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় নামীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রচুর আবাসিক ভবন উক্ত এলাকায় অবস্থিত আছে। কিন্তু উক্ত এলাকায় ক্ষুদ্র আকৃতির কিছু শিল্প কারখানা আছে, যেমনষ্টীল আলমিরা তৈরির দোকান, থালাবাসন ও বড় চামচ তৈরীর ওয়ার্কশপ এবং ছোট আকৃতির নিত্য ব্যবহার্য পণ্য তৈরীর কারখানা। এসব কারখানায় প্রচন্ড উচ্চ আওয়াজের কিছু মেশিন ব্যবহার করা হয়, যা সাধারণত প্রতিদিন সকাল ৮.০০ টা হতে রাত ১১.০০ টা পর্যন্ত বিভিন্ন শিফটের শ্রমিক দ্বারা বিরতিহীনভাবে চলমান থাকে। উক্ত মেশিন সমূহের বিকট আওয়াজের কারণে আশেপাশের ভবনগুলোতে বসবাসকারী শিশু, বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। বিশেষ করে পরীক্ষার্থী ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার পরিবেশ সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয় এবং প্রচন্ড আওয়াজের কারণে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় স্বাভাবিক মনযোগ দিতে পারে না, যার ফলে এই এলাকার অভিভাবক সমাজ এই বিষয়ে চরম উদ্বিগ্ন। মাঝেমধ্যে মেশিনগুলোর বিকট আওয়াজের কারণে নবজাতক শিশুরা আতংকিত হয়ে ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। আমরা জানি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন এলাকাকে নীরব এলাকা বিবেচনা করা হয়। মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষণের কারণে শিশুদের শ্রুতিহীনতাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। শব্দের এই দূষণ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কারো যেন কোন মাথাব্যথা নাই। মাঝেমধ্যে দুএকটি অভিযান পরিচালনা করে দায়িত্ব শেষ করে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন। নির্ধারিত শব্দমাত্রার অতিরিক্ত শব্দমাত্রা নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার বিগত ২০০৬ ইং সনে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা এবং ২০১৮ সনে সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়ন করেলেও তাতে যেন কারো কোনো ভ্রুক্ষেপ নাই। উক্ত আইন দ্বারা মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষণের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

অ্যাডভোকেট মুহাম্মাদুল্লাহ মোজাহের

চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় : শিক্ষাবিদ ও ভাষাতাত্ত্বিক
পরবর্তী নিবন্ধএই দিনে