মাতৃসদন ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করতে চান জাবেদ

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১২ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ

আজাদী : নির্বাচিত হলে এলাকাবাসীর জন্য আপনি কী কী করবেন?
মো. জাবেদ : আমি আবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে আমার উত্তর পাঠানটুলী এলাকাবাসীর জন্য আমার কিছু স্বপ্ন আছে। সেগুলোর মধ্যে প্রথম স্বপ্নটি হলো এলাকার গরীব-দুস্থ নারীদের জন্য একটি মাতৃসদন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা। আরেকটি পরিকল্পনা হলো আমার ওয়ার্ড অফিসে শিক্ষিত-বেকার যুবকদের জন্য একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা।
আজাদী : গত নির্বাচনে আপনার প্রতিশ্রুতিগুলোর কতটুকু পূরণ করতে পেরেছেন?
মো. জাবেদ : গত নির্বাচনে আমি যতগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সেগুলোর প্রত্যেকটি পূরণ করেছি। আমার এলাকায় পানির একটি বড় সমস্যা ছিল। গত নির্বাচনে আমার প্রথম প্রতিশ্রুতি হিসেবে আমি ওয়াসা ও জাইকার সাথে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে এলাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছি। আমার দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি ছিল এলাকাবাসীর জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স কিনে দেয়া যার সেবা তারা পাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। গত পাঁচ বছর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর থাকাকালে আমি যে সম্মানী ভাতা পেয়েছি সেই ভাতা এবং নিজের থেকে আরো অর্থ দিয়ে আমি একটি অ্যাম্বুলেন্স কিনে দিয়ে সেই প্রতিশ্রুতিও পূরণ করেছি। করোনাকালীন সময়ে এ এম্বুলেন্সটি দিয়ে অসুস্থ মানুষদের আমরা সেবা দিয়েছি। আরেকটি প্রতিশ্রুতি ছিল এলাকাতে শিক্ষার প্রসার ঘটানো। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে পোস্তারপাড় আছমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ডিগ্রি ভবন তৈরি করে দিয়েছি। সেখানে আরো একটি নতুন ভবন করেছি যার প্রকল্প ব্যয় ছিল প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। তারপর দেওয়ানহাট কলেজের উপর প্রায় ৩০ হাজার বর্গফুটের একটি ছাদ নির্মাণ করেছি যার প্রকল্প ব্যয় ছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা।
আজাদী : সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এলাকাবাসীর জন্য কী করেছেন?
মো. জাবেদ : আমার এলাকার কোনো অভিভাবক যদি আর্থিক সংকটে তাদের মেয়েদের বিয়ে দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন তখন আমি তাদের আমার দীন মোহাম্মদ কনভেনশন হলে নামমাত্র খরচে বিয়ের ব্যবস্থা করে থাকি। যেসব নিম্নবিত্তের শিক্ষার্থী অর্থের অভাবে স্কুলে ভর্তি হতে পারে না তাদের বিনা ফিতে ভর্তির ব্যবস্থার পাশাপাশি বিনাবেতনে অধ্যয়নের সুযোগ দেয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশনে সুপারিশ করি। কাউকে কাউকে নিজের থেকে বেতন দিয়েও সহযোগিতার হাত বাড়াই।
আজাদী : ময়লা-আবর্জনা অপসারণে কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন?
মো. জাবেদ : আমি যখন নির্বাচিত হই তখন চারিদিকে ছিল ময়লা-আবর্জনার অনেক স্তূপ। আমি সেসব স্থানে ডাস্টবিন সরিয়ে ফুলের বাগান করে দিয়েছি। সিটি কর্পোরেশনের সহায়তায় আমি ময়লা-আবর্জনা অপসারণে ভ্যানগাড়ির ব্যবস্থা করেছি। আমরা এ ভ্যানগাড়িগুলো দিয়ে ডোর টু ডোর কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রতিটি ঘর থেকে ময়লা সংগ্রহের ব্যবস্থা করার ফলে এখন আর চারিদিকে ময়লার স্তূপ চোখে পড়ে না।
আজাদী : এলাকায় ভ্রাতৃত্ববোধ ও ঐক্যের জন্য আপনার ভূমিকা কী ছিল?
মো. জাবেদ : আমার এলাকার মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও ঐক্য সমুন্নত রাখার জন্য আমি প্রতি বছর একটি বনভোজনের আয়োজন করি। এ বনভোজনে ৪০ থেকে ৫০টি বাস ও বিভিন্ন ব্যক্তিগত গাড়িতে করে বিভিন্ন দল-মতের ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করে। এ বনভোজন আমার ওয়ার্ডে সবার মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখে বলে আমি মনে করি।
আজাদী : মাদক ও সন্ত্রাস দূর করতে কী কী করেছেন?
মো. জাবেদ : এলাকাতে মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে আমি বিভিন্ন জায়গায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছিলাম। এ ক্যামেরাগুলোর একটি মনিটর ছিল আমার ওয়ার্ড অফিসে আরেকটি ডবলমুরিং থানায়। এ কারণে কোথায় কিশোর অপরাধীরা আড্ডা দিচ্ছে কিংবা মাদক বিক্রি হচ্ছে সেই বিষয়গুলো আমরা সহজেই খুঁজে নিতে পারতাম। এভাবে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা আমাদের জন্য সহজ হয়েছে।
আজাদী : আবার নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী?
মো. জাবেদ : আমি গত নির্বাচনের আগে এলাকাবাসীকে যে প্রতিশ্রুতিগুলো দিয়েছিলাম তার সবগুলোই পূরণ করেছি। এগুলো পূরণে এলাকাবাসী আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। আমি বিশ্বাস করি এবারও তারা আমাকে মিষ্টি কুমড়া প্রতীকে ভোট দিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত করবেন যাতে আমি আগামী ৫ বছরও তাদের পাশে থাকতে পারি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে ১০৫ ইটভাটার ৬২টিই অবৈধ
পরবর্তী নিবন্ধবাগমনিরামকে পরিকল্পিত ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলতে চান গিয়াস