মাতারবাড়ী সমুদ্র বন্দরে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য আরো ৬৩ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে এসে ভিড়েছে ৫ম জাহাজ। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে পাঁচটি জাহাজে ৩ লাখ ১৯ হাজার ৫২০ মেট্রিক টন কয়লা এসেছে মাতারবাড়ী বন্দর দিয়ে। গতকাল শুক্রবার পৌনে ১২টার দিকে জাহাজটিকে বহিঃনোঙর থেকে মাতারবাড়ী সমুদ্র বন্দরের জেটিতে নিয়ে আসা হয়।
মো. ওয়াহিদুর রহমান নামের দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা প্রথম জাহাজ ১৩ দিনে এবং ২য়, ৩য় ও ৪র্থ জাহাজ পাঁচ দিনে ডিসচার্জিং করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে এই জাহাজ চার দিনে ডিসচার্জিং করতে পারব বলে আশা করছি। তিনি বলেন, সাগরে যে মাদার ভ্যাসেলগুলি আসে তাতে ক্রেইনের সাহায্যে আনলোড করতে হয়। তাতে অনেক সময় লাগে যা খুবই ব্যয়বহুল। কিন্তু এখানে আন লোডারের সাহায্যে বেল্টের মাধ্যমে ডিসচার্জিং করায় তাতে সময় লাগে কম। এতে লাইটার ভ্যাসেলও লাগে না। সরাসরি আন লোডারের সাহায্য ডিসচার্জিং করা হয়। যা সচরাচর বিদেশি বন্দরে দেখা যায়।
বন্দর সূত্র জানায়, গত ১৪ জুন মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরে ৬৩ হাজার ৭৭০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে পানামার পতাকাবাহী এমভি জিসিএল পারাডিপ নামের জাহাজটি ভিড়েছিল। এটি ছিল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য নিয়ে আসা চতুর্থ কয়লাবাহী জাহাজ।
প্রসঙ্গত, জাপানের সহযোগিতায় মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এই বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে উঠেছে। বর্তমানে এর পরীক্ষামূলক উৎপাদন চলছে। আগামী দুয়েক মাসের মধ্যে এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।