কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে শক্তিশালী শ্যালোমেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে শত বছরের ক্ষেত্রপাল মন্দির, তৎসংলগ্ন মহাশ্মশান, জনবসতিসহ পৌরশহরের এক নম্বর গাইড বাঁধটিও। গত দশদিন ধরে স্থানীয় বালুদস্যুচক্র অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখার প্রতিবাদে স্থানীয় ভুক্তভোগী জনগণ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বিভিন্ন মসজিদের মুসল্লিসহ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী জনগণ এই কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় ভুক্তভোগী লোকজন প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান, অবিলম্বে মাতামুহুরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করাসহ এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল উদ্দিন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম, শ্রমিকলীগ নেতা আমির হোসেন, কৃষকলীগ নেতা মিজানুর রহমান, মৌলামা জামাল হোসেন আনসারী প্রমূখ। স্থানীয় কাউন্সিলর বেলাল উদ্দিন জানান, পৌরসভার ভাঙারমুখ থেকে দিগরপানখালী হয়ে ঘুনিয়া পর্যন্ত সড়কটি মাতামুহুরী নদীর তীর। সেই নদী তীরকে রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড বেড়িবাঁধে রূপান্তর করে দেশ স্বাধীনের পর। সেটি এক নম্বর গাইড বাঁধ হিসেবে পরিচিত।
এটি পৌরশহর রক্ষাবাঁধও বলা চলে। সেই বাঁধটি ওই এলাকার লাখো মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু গত কয়েকবছরে মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে শ্যালোমেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করায় গত বর্ষামৌসুমে সেই বাঁধটির বিভিন্নস্থানে ধসে পড়ে। এর পর বালু উত্তোলন বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে পানি উন্নয়ন বোর্ড সেই বাঁধ মেরামতের মাধ্যমে রক্ষা করে।