কক্সবাজারের চকরিয়ার প্রায় ১০ কিলোমিটারের মধ্যে অন্তত ১০ স্থানে পৃথকভাবে সম্প্রীতির মিলনমেলা বসেছিল প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে। এই মিলনমেলায় শামিল হয়েছিলেন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ সম্প্রদায়সহ অসাম্প্রদায়িক চেতনার হাজারো শিশু, নারী–পুরুষ। এতে প্রতি বছরের ন্যায় নদী তীরের এসব স্থান মুখরিত হয়ে উঠে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার পর থেকে।
মাতামুহুরী নদী তীরের সম্প্রীতির এই মিলনমেলায় যাতে কেউ অনাকাঙ্খিত ঘটনা সংঘটিত করতে না পারে সেজন্য প্রশাসন এবং বিভিন্ন আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীর শত শত সদস্য ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে। এতে উপজেলার ৪৭টি প্রতিমা মণ্ডপে পাঁচদিনের এই শারদীয় দুর্গোৎসব মহা সাড়ম্বরে উদযাপিত হওয়া ছাড়াও নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। নদীর যেসব স্থানে এই সম্প্রীতির মিলনমেলা বসেছিল সেসব স্থানের মধ্যে রয়েছে চকরিয়া পৌরশহরের চিরিঙ্গাস্থ মাতামুহুরী সেতুর কাছের স্টেশন পাড়া, বাটাখালী, দিগরপানখালী, ফাঁসিয়াখালীর দিগরপানখালী ও ঘুনিয়া, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন, বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা, বিবিরখিল, পূর্ব বড় ভেওলা, কাকারাসহ অন্তত ১০ স্থান। এছাড়াও যেসব এলাকায় পুকুর রয়েছে সেখানকার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় পুকুরে। চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ জানান– এবার চকরিয়া পৌরসভা এবং উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৪৭টি মণ্ডপে প্রতিমা পূজা এবং ৪৪টি মণ্ডপে ঘটপূজা অনুষ্ঠিত হয়। তন্মধ্যে ৪৭টি মণ্ডপের প্রতিমা নিজ এলাকার পুকুর, পাশের মাতামুহুরী নদীতে বিসর্জন দেওয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আজাদীকে বলেন, এবারও মহা সাড়ম্বরে শারদীয় দুর্গোৎসব সম্পন্ন হয়েছে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে। বিসর্জন উপলক্ষে মাতামুহুরী নদীর তীরে বসে সেই সম্প্রীতির মিলনমেলা।