মাতামুহুরীতে দশদিনে অর্ধশত ড্রেজার ধ্বংস

অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান

চকরিয়া প্রতিনিধি | বুধবার , ১৪ অক্টোবর, ২০২০ at ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদী এবং সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর বিভিন্ন ছড়ার পাদদেশে শক্তিশালী ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং বনবিভাগ। উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ সূত্র জানায়, গত ১০ দিনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযানে ভেঙে ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অন্তত অর্ধশত ড্রেজার মেশিন। জব্দ করা হয়েছে বালু উত্তোলনের নানা সরঞ্জামাদি। এ সময় বালু উত্তোলনে জড়িত ১২ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু এবং দোষ স্বীকারের পর বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে কয়েক লাখ টাকার জরিমানাও।
সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত একযোগে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয় কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের খুটাখালী মধুশিয়া, ফুলছড়ি ও মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান এলাকায়। অভিযানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ২০টি শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন। যেসব ড্রেজার দিয়ে ছড়াখাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিল প্রভাবশালীরা। এ সময় ১০০ ফুটের বেশি পাইপসহ জব্দ করা হয় বালু উত্তোলনের নানা সরঞ্জামাদি। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেন। সাথে ছিলেন বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের এসিএফ মো. সোহেল রানা, রেঞ্জ কর্মকর্তা যথাক্রমে মো. মাজহারুল ইসলাম, সৈয়দ আবু জাকারিয়া ও সুলতান মাহমুদ টিটুসহ বনবিভাগ ও পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর হোসেন দৈনিক আজাদীকে বলেন, যারা পরিবেশের বারোটা বাজিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে, তাদের সবাই প্রভাবশালী। তাই অভিযানের সময় যাতে কেউ তদবির করতে না পারে সেজন্য মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ জানান, ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কঠোর নির্দেশনা মোতাবেক চকরিয়ার কোথাও পরিবেশ ধ্বংস করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। এই অভিযান অব্যাহতভাবে চলবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহালদায় আবারো ভেসে উঠল মৃত ডলফিন
পরবর্তী নিবন্ধনন্দনকানন থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার