মাঠে সোনালি ফসল

করোনাকালেও বাম্পার ফলনে ঘরে ঘরে আনন্দ

আনোয়ারা প্রতিনিধি | বুধবার , ১৪ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারায় কৃষকের ঘরে এখন ধান কাটার আনন্দ। বাম্পার ফলনে কৃষকরা দারুণ খুশি। পাকা ধানে ভরে গেছে ফসলের মাঠ। উপজেলায় এবার ৬ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। ফলন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হবে বলে আশা কৃষি অফিস সংশ্লিষ্টদের। আনোয়ারা কৃষি অফিস সূত্র জানায়,উপজেলার ১১ ইউনিয়নে চলতি বোরো মৌসুমে ৬ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ হাজার ৫৫৪ মেট্রিক টন। বর্তমানে বাম্পার ফলনে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। মাঠে বাতাসে দুলছে সোনালি ধান, শুরু হয়েছে ধান কাটার উৎসব। কৃষক পরিবারে আনন্দের শেষ নেই। তবে আনন্দের পাশাপাশি নানা শংকাও রয়েছে। পবিত্র রমজান,করোনার লক ডাউন পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংকটে পড়া ছাড়াও কাল বৈশাখীর ঝড়-তুফানের আশংকাও কম নয়। শোলকাটা গ্রামের কৃষক মহিউদ্দিন জানান,উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এ বছর ৩ একর জমি বোরো চাষ করেছি। ধানের ফলন ভাল হয়েছে। ধান কাটা শুরু করেছি। লক ডাউন ও রমজানের কারণে শ্রমিক সংকট না হলে ঝড়-তুফানের আগে সব ধান কেটে ঘরে তুলার চিন্তাই আছি।
বরুমচড়ার কৃষক নুরুল হক জানান,এ বছর বোরো ধানের ভাল ফলন হয়েছে। এখন ধান কাটা শুরু হয়েছে। সব কিছু অনুকূলে থাকলে মিনি হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারব।
আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান জানান, করোনা পরিস্থিতিতে কৃষকদের প্রণোদনা দিতে কৃষি অফিস থেকে উন্নত জাতের বীজ ও সার সরবরাহ করাসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হয়েছে। ফলে এবছর বোরোর ভাল ফলন হয়েছে। আশা করছি, লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। তিনি আরো জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। ৫ হাজার চাষী উন্নত জাতের ধান চাষে চমক সৃষ্টি করেছে। ফলে ১৫ ভাগ বেশি ফলনের আশা করছি। করোনায় শ্রমিক ঘাটতি মোকাবেলায় উপজেলায় ছোট-বড় ১২টি ধানকাটার হারভেস্টার মেশিন ধানকাটার কাজে নিয়োজিত থাকবে। তাই আনোয়ারায় ধানকাটা ও শ্রমিক নিয়ে কোন সমস্যা হবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপটিয়ায় বাড়ির ছাদে বিপুল পরিমাণ কার্তুজ
পরবর্তী নিবন্ধমামুনুলের শ্বশুরকে আ. লীগের নোটিশ