মাঠের ভেতরে এবং বাইরে সমানে লড়তে হচ্ছে তাসকিনকে

ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোমবার , ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

ক্রিকেট, পারফরম্যান্স, এসব নিয়েই নানা কথা বলছিলেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু প্রসঙ্গ যখন মাঠ ও ক্রিকেট ছাড়িয়ে স্পর্শ করল জীবনের সীমানা। অভিজ্ঞ এই পেসারও গভীর জীবনবোধের কথা বললেন। পাশাপাশি প্রত্যয় শোনালেন কঠিন সময় থেকে শিখে সামনে এগিয়ে চলার। ইনজুরির সঙ্গে লড়াই তাসকিনের ক্যারিয়ারে নতুন কিছু নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসার আগেই স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ ইনজুরি কাটিয়ে এসেছেন তিনি। ১১ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে যত সময় মাঠের ভেতরে থেকেছেন, বাইরেও থাকতে হয়েছে সম্ভবত ততটাই। এই বছরও অনেকগুলো দিন তাকে জাতীয় দল থেকে দূরে রেখেছিল ইনজুরি। তিনি বলেন ইনজুরি থেকে ফেরার লড়াই সবসময়ই কটিন। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ভীষণ ক্লান্তিকর ও একঘেয়ে। প্রতিবারই শারীরিক ও মানসিক সামর্থ্যের চরম পরীক্ষা হয়। আরও এক দফায় সেই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। এর মধ্যেই আবার তাকে ঘিরে বিতর্কের জন্ম হয়েছিল মাঠের বাইরে। তার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ নিয়ে থানায় যান ছেলেবেলার বন্ধু। পরে অবশ্য তা মিটমাট হয়ে যায় থানার বাইরেই। সব মিলিয়ে সময়টা তার ভালো যাচ্ছিল না। তবে ক্রিকেট দিয়েই আবার সুসময়কে কাছে টেনে আনছেন তিনি। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে তিনিই ম্যান অব দা ম্যাচ। সিলেটে ম্যাচের পর তাসকিন বললেন, কঠিন সময়কে আলিঙ্গন করেই তিনি সামনে ছুটতে চান দৃঢ় পায়ে। ক্রিকেটে হোক বা জীবনে, প্রতিটি মুহূর্তই ভালোমন্দ মিলিয়ে চলে। প্রতিটি কঠিন সময় থেকে শেখার অনেক কিছু আছে। শুধু আমি নই, আমার ক্রিকেটিং ক্যারিয়ার নয়, আপনাদেরও একই। যখন যে মুহূর্ত আসবে, সেটাকে যদি এড়িয়ে যেতে চাই, এটা আমাকে পেয়ে বসবে। এসবের মুখোমুখি হয়ে সবসময় কীভাবে এগিয়ে যেতে পারি, এই চ্যালেঞ্জ নিতে চাই। ভালো হোক, খারাপ হোক, নিজের সততা ও দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে গেলে আজ বা কাল সবকিছু ঠিক হবেই। এটা আমার বিশ্বাস। এই ম্যাচে তার বোলিংয়ের বেশির ভাগ কিছুই অবশ্য ঠিকঠাক হয়েছে। ইনজুরি থেকে ফেরার পর গত মাসে শ্রীলঙ্কা সফরে দুটি ওয়ানডে খেলে ছয় উইকেট নিলেও তাকে ঠিক ছন্দে দেখা যায়নি। শরীরও ভারী হয়ে গিয়েছিল বেশ। পরে একটি টিটোয়েন্টিতেও তিনি ছিলেন অনেকটা খাপছাড়া। দেশে ফেরার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে টিটোয়েন্টি সিরিজের দুটি ম্যাচ খেলে অবশ্য ছয় উইকেট শিকার করেন। তবে সেরা ছন্দে তাকে দেখা যায়নি তখনও। ফিটনেসের ঘাটতি ছিল স্পষ্ট। এরপর গত তিন সপ্তাহের ফিটনেস ট্রেনিং ও অনুশীলনের পর অনেকটাই চেনা চেহারায় ফিরছেন তিনি। ডাচদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দেখা গেছে সেটিরই ছাপ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটাকার জন্য অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
পরবর্তী নিবন্ধভিয়েতনামে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের অনুশীলন