ফটিকছড়ির পাইন্দং ইউনিয়নের ৩ কিলোমিটারজুড়ে শ্বেতকুয়া–বেড়াজালি সড়কটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাতের আঁধারে অবৈধ মাটি এবং বালুর ট্রাক চলাচলের কারণে মাটি–বালু পড়ে সড়কের এই বেহাল দশা। বর্তমানে সড়কটির খানাখন্দে পানি জমে জল–কাঁদায় একাকার হয়ে পড়েছে। বিধ্বস্ত এ সড়কে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা মানুষের হাঁটাচলা করাটাও কষ্টকর হয়ে উঠেছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
সড়কটি পাকা করতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানালেও এখনো পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। এবার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণে গতকাল শুক্রবার সড়কে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় শত শত নারী–পুরুষ। সড়ক পাকা করা ও সড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবি জানান তারা। স্থানীয়রা জানান, এই এলাকার কয়েকটি গ্রামের জনবসতি প্রায় ২০ হাজার। এ সড়কটিই তাদের চলাচলের মাধ্যম। তবে জনবসতিপূর্ণ এলাকার এ সড়কটি সম্পূর্ণ চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাদের অভিযোগ, দিন–রাত ধুরুং খাল থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন এবং মাটি কাটার গাড়ি চলাচলের জন্য সড়কটির এমন বেহাল অবস্থা।
সরেজমিন দেখা যায়, কয়েক দিন আগের বৃষ্টিতে সড়কটিতে পানি জমে কর্দমাক্ত হয়ে যোগাযোগের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। একটি মোটরসাইকেল সড়কটি পার হতে রীতিমতো যুদ্ধ করছেন সড়কের কাদামাটির সঙ্গে। সড়কটি দেখে মনে হচ্ছে যেন ধান চাষের জন্য উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে।
স্থানীয় ওয়াহিদ চৌধুরী বলেন, ইতিপূর্বে আমরা বালু এবং মাটির গাড়ি বন্ধ করেছিলাম। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর কিছু দুষ্কৃতকারী আবারো একই কাজ করছে। তাদের কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না। রাস্তাটি সম্পূর্ণ চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে শুধু এসব অবৈধ যানবাহনের কারণে। আমরা চাই এসব অবৈধ যান চলাচল বন্ধ হোক এবং রাস্তাটি সংস্কার করা হোক।
স্থানীয় কৃষক বদিউল আলম বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন ও মাটি কাটার ফলে চাষাবাদ ব্যহত হচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে যদি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তবে সরকার যে কোটি টাকা খরচ করে খালের বাঁধ দিচ্ছে এসব বিলীন হয়ে যেতে পারে। যে জমিতে বালু পড়ে সেখানে ফলনও হয় না। আমরা এসব থেকে নিস্তার চাই। স্থানীয় আফরোজা বেগম বলেন, আমাদের এলাকার একজন রোগীকে অপারেশনের পর এ সড়ক দিয়ে বাড়ি নিয়ে আসার পর তার শরীরে রক্তক্ষরণ হয়। বালু উত্তোলন এবং মাটি কাটার গাড়িকে বাধা দেওয়াতে স্থানীয়দের উপর হামলার ঘটনাও ঘটে। সব সময় হুমকি দেয়। সড়কটি ঠিক করে এসব অবৈধ যান চলাচল বন্ধের অনুরোধ জানান তিনি।