মাগুরার সেই শিশুটির বোনকে আর শ্বশুরবাড়ি পাঠাবে না পরিবার

| রবিবার , ২৩ মার্চ, ২০২৫ at ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার ৮ বয়সী সেই শিশুটির বড় বোনকে আর শ্বশুরবাড়ি পাঠাবে না পরিবার। শিশুটির মা বলেন, তিনি, তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজন সবাই এ ব্যাপারে একমত। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার জারিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়িটিতে এখনো শোক কাটেনি। দেশের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা এলেও পরিবারের সদস্যদের মনে শান্তি নেই। শিশুটির মা বলেন, দুদিন আগে তার প্রতিবন্ধী স্বামীকে চিকিৎসার জন্য হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। বড় মেয়ে আর ছোট দুটি ছেলেমেয়ে নিয়ে বাড়িতে দিন কাটছে তাদের। কথা প্রসঙ্গে শিশুটির মা বলেন, বড় মেয়ে এসএসসির গণ্ডি পার হতে পারেনি। তার আগেই মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালি গ্রামে বিয়ে দেন তাকে। মেঝো মেয়ে জারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছে। একই বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত তার ছোট মেয়ে। তাদের দেড় বছর বয়সী এক পুত্রসন্তান রয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

রিকশাভ্যান চালিয়ে সংসারের হাল ধরলেও শিশুটির বাবা কিছুটা মানসিক প্রতিবন্ধী। এ সময় তার ভ্যানটি চুরি হয়ে যায়। পরে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে আরেকটি ভ্যান কেনেন। তবে নিজের চিকিৎসার জন্য ভ্যানটি বিক্রি করে দিতে হয়েছিল। এরপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ লাখ ঋণ নেয় পরিবারটি। ওই টাকা বড় মেয়ে হামিদাকে বিয়ে ও সংসার চালাতে শেষ হয়ে যায়। এক সময় ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হিমশিম খেতে হয়। বাড়িতে বসবাসের মাত্র ৭ শতক জমিই তাদের সম্বল। বসবাসের ঘরটিও ছিল সরকারের দেওয়া। গত ৬ মার্চ তার বড় বোনের স্বামীর বাড়িতে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। দীর্ঘ ৮ দিন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএপেক্স ক্লাব অব পটিয়ার কোরআন শরীফ বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধবোয়ালখালীতে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির ইফতার মাহফিল