বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট রোববার দুই বিশ্ব রেকর্ডের সাক্ষী হয়েছে। নেপালি শেরপা কামি রিতা ও ব্রিটিশ পর্বতারোহী কেন্টন কুল একজন বিদেশি হিসেবে সর্বোচ্চ বেশি সংখ্যকবার এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার রেকর্ড গড়েছেন। কামি রিতা শেরপা ২৯ বার এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছার রেকর্ড গড়েছেন। আর কেন্টন কুল গড়েছেন ১৮ বার চূড়ায় ওঠার রেকর্ড। বিবিসি জানায়, নেপালি শেরপা কামি রিতা নিজের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছেন। রোববার স্থানীয় সময় সাড়ে ৭টার কিছু পরে এভারেস্টের চূড়ার ৮ হাজার ৮শ ৪৯ মিটার উচ্চতা (২৯ হাজার ফুট) ছুঁয়ে নতুন রেকর্ড গড়েন তিনি। গাইড হিসেবে দুই দশকের বেশি সময় ধরে পর্বতারোহীদের পথ দেখিয়ে আসছেন কামি রিতা। ১৯৯৪ সালে তিনি প্রথম এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন। খবর বিডিনিউজের।
তারপর থেকে তিনি প্রায় প্রতিবছরই এভারেস্টে চূড়ায় আরোহণ করে আসছেন। গত সপ্তাহে এভারেস্ট বেস ক্যাম্প থেকে ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে কামি রিতা লেখেন, বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতচূড়ায় ২৯ বারের মতো ওঠার জন্য আবার এসেছি। কামি রিতা তার দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ও স্বদেশী পাসাং দাওয়া শেরপার কাছ থেকে তার মুকুট পুনরুদ্ধার করতে গত বছর দুবার এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছিলেন।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের গ্লুচেস্টারশায়ারের পর্বতারোহী কেন্টন কুলও রোববার এভারেস্টে চূড়ায় ওঠেন। ব্রিটিশ নাগরিক কেন্টও পর্বতারোহীদের একজন গাইড। তিনি ২০২২ সালে সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেছিলেন, আরও অনেক শেরপা আরও অনেকবার এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেছেন। লাকপা শেরপা প্রথম নারী হিসেবে সবচেয়ে বেশিবার এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার রেকর্ড করেন। ২০২২ সালে ১০ম বাবের মতো চূড়ায় উঠে তিনি রেকর্ড গড়েছিলেন। নেপাল সরকার এ বছরের এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে জুন পর্যন্ত বসন্ত মৌসুমে প্রায় ৪০০ জনকে পর্বতারোহণের অনুমতি দিয়েছে। প্রায় সব পর্বতারোহীর সঙ্গে একজন করে স্থানীয় গাইড থাকায় প্রায় ৮০০ জন এভারেস্টে আরোহণ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বছর ৬০০’রও বেশি জন এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছেছিল। কিন্তু গত বছর আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়।