নগরের দক্ষিণ হালিশহর, উত্তর পতেঙ্গা ও দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের পানি নিষ্কাশনের অন্যতম মাধ্যম মাইট্ট্যালা খাল। খালটির প্রবেশমুখে গার্ডার ওয়াল নির্মাণ করছে সিডিএ। এজন্য সেখানে ব্লক বসানো হয়েছে। এসব ব্লকের জন্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পানি নিষ্কাশন। এতে চলতি বর্ষায় ইতোমধ্যে কয়েক দফার ভারী বর্ষণে তীব্র জলাবদ্ধতা হয়েছে ওয়ার্ড তিনটির সিংহভাগ এলাকায়। এ অবস্থায় স্থাপিত ব্লক অপসারণে সিডিএ’র প্রতি আহবান জানিয়েছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
জানা গেছে, র্যাব-৭ ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ইতোপূর্বে মেয়রকে পত্র দেয়া হয়েছে খালটির বিষয়ে। এতে বলা হয়, তিন ওয়ার্ডের ইপিজেড, নৌ-বাহিনী আবাসিক এলাকা, স্টিল মিল বাজার সংলগ্ন স্থানে র্যাব-৭ এর মূল কার্যালয় রয়েছে। এছাড়া অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি কল-কারখানা, তৈরি পোষাক শিল্প ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। এখানকার পানি প্রবাহের প্রধান পথ মাইট্ট্যালার খাল। ওয়ার্ড তিনটির নালা-নর্দমার পানি এই খালে গিয়ে পড়ে। কিন্তু খালের প্রবেশ মুখে সিডিএ গার্ডার ওয়াল নির্মাণ করতে গিয়ে বালি ও কংক্রিট ভর্তি বস্তা ফেলে ব্লক তৈরি করে। এর ফলে তিনটি ওয়ার্ডের সমস্ত নালা-নর্দমার পানি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ কারণে বিরাট এলাকা জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছে এবং এলাকাবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে গতকাল বিকেলে স্টিল মিল বাজার সংলগ্ন ব্যাব-৭ এর কার্যালয়ের সামনে চসিক পরিচ্ছন্ন ও প্রকৌশল বিভাগের যান্ত্রিক শাখা বড় নালা-নর্দমা থেকে এঙেভেটরের মাধ্যমে মাটি ও বর্জ্য অপসারণ করে। এ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকালে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন ধীর গতিতে চলছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সম্পূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে দু’এক বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে। বৃহত্তর স্বার্থে সাময়িক দুর্ভোগ মেনে নেয়া যায়। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে জলাবদ্ধতাজনিত সমস্যায় নাগরিক ভোগান্তি সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যেতে বাধ্য। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় সীমা যতই বাড়ুক না কেন পানি প্রবাহ পথ ব্লক করে দেয়া যায় না এবং এটাই বাস্তবতা।
এসময় সিডিএর প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, মাইট্ট্যালার খালসহ যে সমস্ত খালে এ ধরনের ব্লক বা বাঁধ দেয়া হয়েছে সবখানে পানি চলাচলের জন্য বিকল্প পথ তৈরি বা বিশেষ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৩৯ নং দক্ষিল হালিশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন ৪০ নং উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল বারেক।