ফাগুনি হাওয়ার পরশে মন চনমনে
সুবাসিত ফুলের গন্ধে যেতে যেতে দক্ষিণ–পশ্চিম
প্রান্তে হঠাৎ থমকে দাঁড়াই শিশির ভেজা আলপথে–
তীরে এসে মন আমার ভীষণ আঁকিবুঁকি করে।
আহা, বঙ্গকবির স্মৃতির এই নদ একদিন ছিলো কতো
দুগ্ধ স্রোতস্বিনী; আজ তার অবয়ব কী শীর্ণজীর্ণ
তীরের সেই স্মৃতির বিদায়ঘাটও কী বিষণ্ন!
‘সতত, হে নদ, তুমি …’ এই স্মৃতি কখনও কি ভুলতে পারি?
তার কল কল ধ্বনির অনুরণন, হৃদয়ে বাজে সারাক্ষণ।
তার স্রোতস্বিনীতে আজও শুনি, কবির জন্য শোকধ্বনি –
সাগরদাঁড়ি আজ যেন সঞ্জীবিত, ঐতিহ্যময় পূণ্যভূমি
এখানে মোহন বাঁশির টানে ছুটে আসে প্রতিদিন
সকাল– সন্ধ্যায় অগনিত ভক্তকুল। উন্মুক্ত প্রান্তরে
অট্টালিকায়, কাঠবাদাম বৃক্ষের স্মৃতিতে তারা প্রাণের
মধুমেলায় মেতে ওঠে শ্রদ্ধায় ভালোবাসায় মধুবন্দনায়।
হে কবি, তোমার অমিত্রাক্ষর, মেঘনাদ বধ কাব্য
সে তো অনবদ্য, অমর সৃষ্টি; কি করে তোমাকে ভুলি?
এই বঙ্গতে তুমি জন্মেছিলে বলেই বাংলা ও বাঙালি
সারা দুনিয়ায় কতো কতো গৌরবময় আজ।
এই অগ্নিঝরা ফাগুনে তোমার আতুড়ঘরে দাঁড়িয়ে–
মাইকেল, আজ তোমাকে ভীষণ মনে পড়ে।