মহৎ সাহিত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে চট্টগ্রাম একাডেমি

বার্ষিক সাধারণ সভায় ড. অনুপম সেন

| শনিবার , ১ জানুয়ারি, ২০২২ at ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম একাডেমির একুশতম বার্ষিক সাধারণ সভায় একাডেমির চেয়ারম্যান প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন বলেন, আন্দোলন-সংগ্রাম, সাহিত্য-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের ভূমিকা যেমন অগ্রগণ্য তেমনি অর্থনৈতিকভাবেও দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এসবের সাথে যুক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম একাডেমির কর্মকাণ্ডের ইতিহাস। চট্টগ্রাম একাডেমি কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্যের মত বাংলাদেশ তথা বাংলা ভাষাভাষিদের ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে। এ প্রতিষ্ঠান নিজস্ব স্থায়ী কার্যালয় থেকে এতদঞ্চলের সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস চর্চার সুযোগ করে দিয়েছে। লেখক-সাহিত্যিকরা সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছেন, চট্টগ্রামকেও এগিয়ে নিচ্ছেন। মহৎ সাহিত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম একাডেমি অসামান্য কাজ করে যাচ্ছে। চিরায়ত সাহিত্য সৃষ্টির জন্য লেখকদের আরও অনেক বেশি কাজ করতে হবে। নতুন প্রজন্ম বর্তমান সময়ে ডিজিটাল ডিভাইসে মত্ত। ভিনদেশী সিরিয়ালের দৌরাত্ম্যে আমাদের স্বকীয় সংস্কৃতির ত্রাহি অবস্থা। এ অবস্থা থেকে সাহিত্য-সংস্কৃতিকে পরিত্রাণের জন্য চট্টগ্রাম একাডেমি কাজ করে চলেছে। সাহিত্যের জন্য আড্ডার দরকার। আড্ডার মাধ্যমে চিত্তের বিকাশ ঘটে। এ বিকাশের কাজটি চট্টগ্রাম একাডেমি করে চলেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম একাডেমি ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক শিশুসাহিত্যিক-সাংবাদিক রাশেদ রউফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন একাডেমির মহাপরিচালক আমিনুর রশীদ কাদেরী। বক্তব্য রাখেন একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক নেছার আহমদ, অরুণ শীল, জিন্নাহ চৌধুরী, পরিচালক প্রফেসর রীতা দত্ত, কথাসাহিত্যিক দীপক বড়ুয়া, গল্পকার বিপুল বড়ুয়া, জাহাঙ্গীর মিঞা, পরিচালক এস এম আবদুল আজিজ, পরিচালক শারুদ নিজাম, গল্পকার মিলন বনিক, অধ্যাপক মৃণালিনী চক্রবর্তী, পরিচালক এস এম মোখলেসুর রহমান ও অধ্যাপক গোফরান উদ্দীন টিটু, অধ্যাপক কাঞ্চনা চক্রবর্তী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ড. আনোয়ার আলম। অনুষ্ঠানে একাডেমির পরিচালক, আজীবন দাতা সদস্য, জীবন সদস্য ও সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমোবাইল চার্জার বিস্ফোরণ, পুড়ল দুই বসতঘর
পরবর্তী নিবন্ধগৌরবের ইতিহাস কখনো ম্লান হয় না