মহেশখালী পৌরসভার সি বিচ রোডে গাইড ওয়াল নির্মাণ ও মাটি কাটা প্রকল্পের (ভুয়া প্রকল্প) টাকা আত্মসাৎ মামলায় মহেশখালীর সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার আজমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে দেন। দুদক পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কঙবাজার জেলা জজ আদালত থেকে সম্প্রতি মামলাটি বিচারের জন্য আমাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আমরা সে অনুযায়ী চার্জগঠন করে বিচার শুরুর জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছি। আদালত আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি চার্জগঠনের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ ঘটনায় ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ মহেশখালীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র পূর্ণ চন্দ্র দে, পৌরসভার সাবেক সচিব মো. আব্দুল হক ও হিসাব রক্ষক মো. নাজিম উদ্দিন বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক
আজিজুল হক। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, পৌরসভার সি বিচ রোডে এইচবিবি দ্বারা মেরামত গাইড নির্মাণ ও মাটি কাটা প্রকল্পের কাজের নামে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে হিসাব রক্ষক মো. নাজিম উদ্দিনের সহায়তায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ও তা ব্যবহার করে উক্ত প্রকল্পের কথিত ঠিকাদার মেসার্স বাদশা মিয়া কনস্ট্রাকশন, প্রোপাইটার বাদশা মিয়ার নামে কোনো বিল ভাউচার ছাড়াই পূবালী ব্যাংক মহেশখালী শাখা থেকে ৬ লাখ টাকা প্রদান দেখিয়ে, চেকের দাবিকৃত টাকা নিজেরা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেন। পরবর্তীতে উত্তোলিত টাকা দিয়ে প্রকল্পের কাজ না করে নিজেরাই আত্মসাৎ করেন। যেটি দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আদালত সূত্র জানায়, এ মামলায় ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর এজাহারভুক্ত হিসাব রক্ষক মো. নাজিম উদ্দিনকে বাদ দিয়ে এবং কারাপ্রাপ্ত সাবেক মেয়র সরওয়ার আজমসহ নতুন করে চারজনকে যুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদক-২ এর সহকারী পরিচালক অজয় কুমার সাহা। সূত্র আরো জানায়, এ মামলায় এতদিন সরওয়ার জাহানসহ চারজন পলাতক ছিলেন। সরওয়ার জাহান যেহেতু আত্মসমর্পণ করেছেন তাই পলাতক সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে তিনজনে। তারা হলেন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র পূর্ণ চন্দ্র দে, সাবেক সচিব আব্দুল হক ও বাদশা মিয়া কনস্ট্রাকশনের বাদশা মিয়া। বাকিরা জামিনে গিয়ে নিয়মিত হাজিরায় আছেন।