মহেশখালীর বিভিন্ন স্পটে হাজারো পর্যটক

প্রশাসনের নিরাপত্তা জোরদার

ফরিদুল আলম দেওয়ান, মহেশখালী | শনিবার , ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ

বছর শেষ সপ্তাহে পর্যটকে সরগরম হয়ে উঠছে দেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা হাজার হাজার পর্যটকে মুখর পর্যটন স্পটের বিভিন্ন পয়েন্ট। বিশেষ করে আদিনাথ জেটি ও মৈনাক পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত ঐতিহাসিক আদিনাথ মন্দির, রাখাইন পল্লী, সোনাদিয়ার চর, মাতারবাড়ীর গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেল, কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের দৃষ্টিনন্দন গেইট দেখতে পর্যটকদের ভিড় জমেছে সবচেয়ে বেশি। ভ্রমণপিপাসু মানুষের পদচারণায় উৎসবের আমেজ পুরো মহেশখালী জুড়ে।

গত তিনদিন ধরে অস্বাভাবিক হারে পর্যটক বৃদ্ধি পাচ্ছে মহেশখালীতে। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার বন্ধের দিনে মহেশখালীর প্রবেশদ্বার জেটি এলাকায় পর্যটকদের একসাথে নদী পারাপারের জটলা এমন পর্যায়ে ঠেকেছে যে, রীতিমতো এটি সামাল দিতে গিয়ে প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান মাহমুদ ডালিমের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী ও থানা পুলিশ।

এসময় মহেশখালী জেটি ঘাটের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এবং মহেশখালীতে আগত দর্শনার্থী যেন হয়রানির শিকার না হয় এজন্যে ঘাটে শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু জাফর মজুমদার এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত গোরকঘাটা জেটি ঘাটে অবস্থান নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী। কক্সবাজার ৬ নম্বর ঘাট থেকে স্পিড বোট, ডেনিস বোট, সিট্রাক হয়ে সরাসরি গোরকঘাটা ও আদিনাথ ঘাটে আসছেন পর্যটকরা। ঘাটে উপচে পড়া ভিড় সামাল দিতে কাজ করছেন উপজেলা প্রশাসন।

এদিকে শীতে আবারো পর্যটকের পদধ্বনিতে মুখরিত হতে চলেছে দেশের আলোচিত এ দ্বীপের পিকনিক স্পটগুলো। বগুড়া থেকে মহেশখালী দ্বীপে বেড়াতে আসা পর্যন্ত সিরাজুল ইসলাম জানান, মৈনাক পর্বতের চূড়ায় আদিনাথ মন্দির এবং পাহাড়ে সবুজের দিগন্তজোড়া এই নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এই দ্বীপের রাখাইন পল্লী, শুটকি মাছের দোকান ও চরপাড়ার ঝাউ বাগান দেখে মন জুড়ালো।

গতকাল মহেশখালী জেটি এলাকা পরিদর্শনকালে দেখা যায়, উপজেলা প্রশাসন, যৌথ বাহিনী ও থানা পুলিশের সদস্যরা সেখানে অবস্থান নিয়ে পর্যটকদের শৃঙ্খলার সাথে নদী পারাপারের সুযোগ করে দিচ্ছেন। ব্যস্ত সময় পার করছেন মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী অফিসার ইমরান মাহমুদ ডালিম।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক দম্পতি সাইফুল করিম জানান, দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র আদিনাথ জেটি ও আদিনাথ মন্দির খুবই সুন্দর। তাদের মতে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ পর্যটকদর্শনার্থীদের জন্য দ্রুত সরকার এখানে ভালো কিছু গড়ে তুলবে এমনটাই প্রত্যাশা।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জেটিঘাট এলাকায় টমটম, মিশুক, সিএনজি, মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের কারণে দীর্ঘদিন ধরে পর্যটক ও স্থানীয়দের হয়রানি, ভিড়, বিশৃঙ্খলা ও যানজট সৃষ্টি হয়ে আসছিল। এতে পর্যটক ও সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তি বাড়ছিল। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি তদারকি করছেন উপজেলা প্রশাসন। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরানমাহমুদ ডালিম জানান, পর্যটক হয়রানি রোধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য দোয়া করলেন হেফাজত আমির
পরবর্তী নিবন্ধপটিয়ায় বিয়ের অনুষ্ঠানে বর-কনের হাতে ‘জাস্টিস ফর হাদি’ লেখা প্লে-কার্ড