বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া মহেশখালীর এফবি মায়ের দোয়া নামক একটি ফিশিং ট্রলারকে রাতের অন্ধকারে অপর একটি ফিশিং ট্রলার ধাক্কা দিলে এফবি মায়ের দোয় গভীর সাগরে ডুবে যায়।
১০ সেপ্টেম্বর (বুধবার) রাত ১১ টায় মহেশখালীর সোনাদিয়া সংলগ্ন পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ৮ (৮ বাম) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ডুবে যাওয়া ফিশিং ট্রলারের ১৪ মাঝিমাল্লা ট্রলারে থাকা তেলের টাংকি, বয়া ও বিভিন্ন ফ্লুটের সাহায্য নিয়ে দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা ধরে সাগরে ভাসতে থাকে।
পরে গতকাল ১১ সেপ্টেম্বর সকালে সাগরে মাছ ধরার দক্ষিণ হাতিয়া জেলার অপর একটি ট্রলার তাদের দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে। আজ শুক্রবার ১২ সেপ্টেম্বর ভোরে কক্সবাজারের অপর একটি ট্রলারের মাধ্যমে তারা মহেশখালী দ্বীপে ফিরে আসে।
ডুবে যাওয়া ফিশিং ট্রলারের মালিক মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের মৃত আশরাফ মিয়ার পুত্র জালাল মিয়া বহদ্দার জানান, তার ৫২ অশ্ব শক্তি সম্পন্ন এফবি মায়ের দোয়া ফিশিং ট্রলারটির মাঝি আব্দুস সালামসহ ১৪ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়।
বুধবার রাত ১১টায় ডাকাতের বোট সন্দেহ করে চিকন জালের অপর একটি ট্রলার ইচ্ছাকৃতভাবে সেটিকে ধাক্কা দিয়ে আমার ট্রলারটিকে ডুবিয়ে দেয়। এ সময় ট্রলারটির তক্তা ভেঙ্গে পানি ঢুকে পুরোপুরি ডুবে গেলে মাঝিমাল্লারা বয়া, টাংকি ও ফ্লুট নিয়ে জীবন বাঁচাতে সাগরে ঝাঁপ দিয়ে সাগরে ভাসতে থাকে।
তারা দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা ভাসার পর পরদিন বৃহস্পতিবার দক্ষিণ হাতিয়ার মাছ ধরারত ওপর একটি ট্রলার তাদেরকে উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার জেলেদেরকে কক্সবাজারের একটি ট্রলারে তুলে দিলে আজ শুক্রবার ভোরে তারা কক্সবাজার ফিশারীঘাট পৌঁছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলার মালিক জালাল মিয়া বহদ্দার জানান, তিনি একজন ছোটখাটো ফিশিং ট্রলার ব্যবসায়ী। ধার দেনা করে ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একমাত্র মায়ের দোয়া নামক ট্রলারটি তৈরি করে সাগরে পাঠিয়েছিলেন। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় ট্রলারটি হারিয়ে তিনি পঞ্চাশ লক্ষ টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
        











