দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর প্রধান সড়কের দুপাশ দখল করে আছে অসংখ্য ঝুপড়ি দোকান ও মাছ বাজার। রাস্তার উপরেই চলছে ট্রাক ও পিকআপে লবণ বোঝাই। ফুটপাতে বেচাকেনা করছে বাঁশ ও বিবিধ রকমের মালামাল। ফলে উপজেলার প্রধান সড়কে নিয়মিত লেগে থাকে যানজট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রী সাধারণ।
গতকাল শুক্রবার উপজেলার সবচেয়ে জনবহুল দুটি বাজার পৌরসভার গোরকঘাটা বাজার ও বড় মহেশখালী নতুন বাজারে দেখা যায়, ছোট–বড় বিভিন্ন প্রকারের শত শত গাড়ির দীর্ঘ লাইন। যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই বিরক্ত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে পথ চলা শুরু করেছে। তবে অসুস্থ ও দুর্বল মানুষরাই পড়ছে বিপদে। সঠিক সময়ে অফিস আদালতে যেতে পারছে না মহেশখালীর মানুষ। মহেশখালী উপজেলা কার–মাইক্রো মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, মহেশখালীর সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মাহফুজ রহমান তার আমলে যানজট নিরসনের জন্য রাত ১০টার পূর্বে প্রধান সড়কে কোন প্রকার ট্রাক ও ডাম্পার গাড়ি না ঢুকার নির্দেশনা দিয়ে থাকলেও বর্তমানে তা মানা হচ্ছে না। যার ফলে নিয়মিত যানজটের পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও প্রাণহানির অহরহ ঘটনা ঘটছে। যত্রতত্র রাখা হচ্ছে গাড়ি, রাস্তার উপর রয়েছে বহু সিএনজি, টমটম স্টেশন। সাধারণ মানুষের দাবি দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে রাস্তা থেকে সরাতে হবে গাড়ির স্টেশন। উচ্ছেদ করতে হবে ঝুপড়ি দোকান, সরিয়ে নিতে হবে রাস্তার উপর রাখা মালামাল। অন্যথায় নিরসন করা যাবে না যান যানজট। পাশাপাশি এই ঝুপড়ি দোকান স্থায়ী হয়ে গেলে সহজে উঠানো যাবে না তাদের। মহেশখালী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি জেএইচএম ইউনুচ জানান, এই যানজটের কারণে মহেশখালীতে অধিকাংশ পর্যটক একবার আসলে দ্বিতীয়বারের মতো আর আসতে চায় না। উপজেলা প্রশাসনের প্রতি আমাদের অনুরোধ দ্রুত রাস্তা থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে মহেশখালীর যানজট সমস্যা সমাধান করার। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেদায়াত উল্লাহ বলেন, সামপ্রতিক সময়ে মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা চৌরাস্তার মোড় থেকে অবৈধ ঝুপড়ি দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে মহেশখালীর অন্যান্য বাজার থেকে রাস্তা দখল করে বসানো ঝুপড়ি দোকান উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।