মহেশখালীর কালারমারছড়ার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে র্যাব নৌবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে যৌথবাহিনী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক (সিইও) কামরুল ইসলাম।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে একাধিক সন্ত্রাসী আস্তানা ও একটি অস্ত্র তৈরির কারখানা ধ্বংস করা হয়েছে; উদ্ধার করা হয়েছে ১০টি দেশীয় তৈরী আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩০ টি গোলাবারুদ।
এ–অভিযানে নৌবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের প্রায় তিনশো সদস্য অংশ নেয় বলে জানান এ কর্মকর্তা।
এর আগে বুধবার মধ্যরাতে মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প সংলগ্ন কোহেলিয়া সেতুর কাছে টহলরত পুলিশের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে তিন পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হন, যাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক (সিইও) কামরুল ইসলাম অভিযান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার পরপরই কালারমারছড়া ইউনিয়নের গোদারপাড়া, আঁধারঘোনা, ফকিরজোমপাড়া, মিজ্জির পাড়ার পাহাড়ি এলাকায় ‘চিরুনি অভিযান’ শুরু করা হয়। অভিযানে অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করে পাহাড়ি টিলা ও ঝিরিতে তল্লাশি চালানো হয়।
দিনব্যাপী অভিযানে পৃথক তিনটি সন্ত্রাসী আস্তানায় হানা দেওয়া হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
কামরুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে র্যাব সব সময় জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে। সন্ত্রাসীদের আর কোনো আস্তানা থাকতে দেওয়া হবে না। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
এই অভিযান ও উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের কারণে সন্ত্রাসীদের শক্তি দুর্বল হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।
