কুতুবদিয়ার কৈয়ারবিল সৈকত থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহটি মহেশখালীর জেলে আবদুল মোনাফের (৩৩) বলে নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ভাই আলী আজগর।
তিনি জানান, কুতুবদিয়া সৈকতে ভাসমান উদ্ধার হওয়া লাশটি গত কয়েকদিন আগে মহেশখালী সাগরে নিখোঁজ হওয়া তার ভাই আবদুল মোনাফের।
গত ২৮ জুলাই মহেশখালীর সোনাদিয়ার অদূরে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায় মাছ ধরার একটি ফিশিং বোট। এই ঘটনায় ৬ জেলে জীবিত উদ্ধার হলেও নিখোঁজ ছিলো আবদুল মোনাফ ও আলাউদ্দিন।
শনিবার (২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯ টায় কুতুবদিয়া কৈয়ারবিল সৈকত থেকে একটি মরদেহ উদ্ধারের কথা জানান কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরমান।
তিনি বলেন ‘মরদেহের মুখমণ্ডল সম্পূর্ণ বিকৃত হয়ে গেছে। দেহের পরনে নেভিব্লু প্যান্ট ও একটি এশ রঙের ফুলহাতা গেঞ্জি রয়েছে। উদ্ধার পরবর্তী পরিচয় নিশ্চিত হলে পরিবারকে মরদেহ হস্তান্তরের কথা জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আবদুল মোনাফ মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের কালালিয়াকাটা এলাকার মো. জামাল উদ্দিনের পুত্র।
গত সোমবার (২৮ জুলাই) হোয়ানকের ধলঘাট পাড়া এলাকার নাসির উদ্দিনের মালিকানাধীন ফিশিং বোটে করে মাছ ধরতে গিয়েছিল মোনাফ। এই ঘটনায় আলাউদ্দিন নামের অপর একজন জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা যায়।