মহেশখালীর গহীন জঙ্গলে র্যাব, পুলিশ ও নৌ বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের বিষয়ে আগেভাগে টের পেয়ে পাহাড়ে অবস্থানকারী ডাকাত, সন্ত্রাসী ও অস্ত্রের কারিগররা পালিয়ে গেলেও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা একটি অস্ত্র তৈরির কারখানা পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে।
অভিযানের বিষয়ে র্যাব–১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. কামরুল হাসান, পিএসসি, আর্টিলারি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, কক্সবাজারের মহেশখালী এলাকায় মাদক, চোরাচালান, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার ও অপহরণের ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। সমপ্রতি মহেশখালীর গহীন জঙ্গলে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার ও অপহরণ দুটো অপরাধই আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন সময়ে আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটককৃত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এ সকল অস্ত্রের উৎস মহেশখালী বলে জানায়। র্যাবসহ আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীর ক্রমাগত অভিযানের পরও কঙবাজারের অন্যতম অপরাধ প্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত মহেশখালীতে আবারও অবৈধ অস্ত্রের আস্ফালন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দুর্গম পাহাড়ের গহীনে গড়ে ওঠা ভ্রাম্যমাণ কারখানায় দিন–রাত তৈরি হচ্ছে প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র, যা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ডাকাতরা মূলত দুর্গম গহীন পাহাড়ে তাদের অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। মহেশখালীর পাহাড়ের গহীন এলাকাগুলো আইন–শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক দুর্গম হওয়াতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাতরা তাদের নিরাপদ আশ্রয় মনে করে। মহেশখালীর দুর্গম পাহাড়ের গহীনে গড়ে ওঠা অবৈধ অস্ত্রের কারখানার সন্ধান, অস্ত্রের কারিগর ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য রোধ, দ্বীপ অঞ্চলের মানুষের আতঙ্ক দূরীকরণে ও ডাকাতদলের তৎপরতা নির্মূল করার উদ্দেশ্যে র্যাব–১৫ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব, নৌ–বাহিনী ও পুলিশের মোট ২৫০ জন সদস্যের সমন্বয়ে যৌথ অভিযানে ৪টি একনলা বন্দুক, ৩টি ডামি এলজি, ৩টি দেশীয় তৈরী এলজি, ৬ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ, ৩ রাউন্ড ৭.৬২ ব্লাঙ্ক এ্যামুনেশন, ৮ রাউন্ড এমজি লাইভ এ্যামুনেশন, ১৩ রাউন্ড রাইফেলের এম্যুনেশন ও ৬০–৮০ মিটার বৈদ্যুতিক তার উদ্ধার করা হয়।









