জ্বালানি সেক্টরে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। আমদানিকৃত জ্বালানি তেল পরিশোধন করে দেশে সরবরাহ দিতে মহেশখালী দ্বীপে স্থাপিত সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গতকাল সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি যোগ দিয়ে উদ্বোধন করলেন দেশের জ্বালানি সেক্টরের মেগা এই প্রকল্পটি। মহেশখালীর ধলঘাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে স্থাপিত ভাসমান ট্যাংকার থেকে ২টি পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল যাবে চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারিতে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত মহেশখালীর এসপিএম প্রকল্প মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন চেয়ারম্যান এবিএম আযাদ এনডিসি। ফলক উন্মোচন করেন মহেশখালী–কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক। উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীকি মারমা, মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিনুয়ারা ছৈয়দ, কুতুবজোমের চেয়ারম্যান এড. শেখ কামাল প্রমুখ।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন চেয়ারম্যান এবিএম আযাদ বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি তেলের চাহিদাপূরণ এবং আমদানিকৃত ক্রুড অয়েল এবং ফিনিসড্ প্রোডাক্টস্ সহজে, নিরাপদে, স্বল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে খালাস নিশ্চিত করা সম্ভব হবে এ পাইপ দিয়ে। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত জ্বালানি তেল পরিশোধন করে মহেশখালী এসপিএম প্রকল্পে স্টোরেজ করে দেশে সরবরাহ করা হবে। ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এবং দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি তেল পরিশোধনাগারে যুক্ত হলো মহেশখালীর নির্মিত ২টি পাইপ লাইন।
জানা যায়, সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিংয়ে ৩৬ ইঞ্চি ব্যাসের ২টি পৃথক পাইপলাইনের মাধ্যমে জাহাজ থেকে ক্রুড অয়েল এবং ডিজেল (এইচএসডি) সরাসরি পাম্প করা হবে। যা এসপিএম হয়ে মহেশখালীর সোনারপাড়ায় নির্মিত স্টোরেজ ট্যাংকে জমা হবে। পরবর্তীতে উক্ত ট্যাংক হতে পাম্পিংয়ের মাধ্যমে ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের অপর ২টি পৃথক পাইপলাইনের মাধ্যমে তা চট্টগ্রামস্থ ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে (ইআরএল) পাঠানো হবে।