বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবজনিত জলোচ্ছ্বাস থেকে মাঠে থাকা লবণ সংরক্ষণ করতে গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে ঠান্ডাজনিত কারণে মহেশখালীতে ১ লবণ চাষির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত আরও ২০ জন লবণ চাষী ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গতকাল রবিবার উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের গালাগাজির পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত লবণ চাষির নাম মোহাম্মদ রিদওয়ান প্রকাশ ধলাইয়া (৩৫)। তিনি উক্ত গ্রামের মৃত আবুল ফজলের পুত্র। নিহতের ছোটভাই জাকের হোসেন জানান, তার বড় ভাই রিদওয়ান একই এলাকার মাস্টার আজিজুল হকের বর্গা চাষা। গতকাল দুর্যোগের সময় মাঠে থাকা লবণ সংরক্ষণ করতে ভোর ৬টায় লবণ মাঠে চলে যায়। সারাদিন প্রচণ্ড বাতাসে বৃষ্টিতে ভিজে লবণ তোলার কাজ করাকালীন ঠান্ডা জনিত কারণে অসুস্থ হয়ে মাঠে পড়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বাড়িতে খবর দিলে লোকজন গিয়ে তাকে নিয়ে এসে কালাগাজীর পাড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত উপসহকারী মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আব্দুস সালাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে হোয়ানক ইউপির ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মৃত রিদওয়ান আমার ভাগিনা। সে বগাচতর ঘোনায় বর্গাজমি নিয়ে লবণ চাষ করত। গতকাল দুর্যোগের সময় সারাদিন প্রচন্ড বাতাসের মধ্যে বৃষ্টিতে ভিজে লবণ তোলার কারণে সে অসুস্থ হয়ে মাঠেই মারা যায়। এ সময় আমার ওয়ার্ডের কালাগালির পাড়া ও হরিয়ারছড়া এলাকার আরো অন্তত ২০ জন লবণ চাষী বাতাসে বৃষ্টিতে ভিজে লবণ তোলার কারণে অসুস্থ হয়ে বাড়িতে ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অসুস্থদের মধ্যে ৮ জানের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন, কালা গাজীর পাড়া গ্রামের মৃত হাঁচু মিয়ার পুত্র আবদুস সালাম (৪৬), আবুল হাসেমের পুত্র রাজা মিয়া (৩৫), মাওঃ গোলাম হোসেনের পুত্র আবু ছালেক (৪০), মোঃ ফোরকানের পুত্র লোকমান (২২), হরিয়ার ছড়া গ্রামের মৃত ঠান্ডা মিয়ার পুত্র আক্তার ফকির (৪২), ফকিরখালী পাড়ার আব্দুল হাকিমের পুত্র মোঃ আনসার (৪৫), কালা গাজীরপাড়ার উপেন্দ্র ধুপি‘র পুত্র বিশ্বনাথ দুটি (৩৫) ও আব্দুল জব্বারের পুত্র আবুল হাসেম (২৫)। নিহত ও আহতদের বাড়ি পরিদর্শন করছেন মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কালারমারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ।