ঘূর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে নিজেদের জানমাল ও সহায় সম্পদ রক্ষায় তুমুল তোড়জোড় শুরু হয়েছে মহেশখালী উপকূলে। গতকাল শুক্রবার রাতে লোকজন নিয়ে মাঠের ধান কেটে ঘরে তুলতে দেখা গেছে কৃষকদের। অপরদিকে শেষ মৌসুমে লবণ মাঠে উৎপাদিত প্রচুর লবণ এখনো মাঠে থাকায় রাতেই শত শত লবণ চাষিকে উৎপাদিত লবণ নিরাপদে সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। অপরদিকে সাগরে থাকা ফিশিং ট্রলারগুলো উপকূলে ফিরতে শুরু করেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজারের ফিশারি ঘাট, বাঁকখালি, নাজিরারটেক, মহেশখালী জেটিঘাট, সোনাদিয়া, ঘটিভাঙ্গা ও ধলঘাটা এবং কালারমারছড়া নৌঘাট এলাকায় আনুমানিক ৩ হাজারের অধিক মাছ ধরার ট্রলার সাগর থেকে ফিরে এসেছে।
সাগর থেকে ফিরে আসা জেলে ইউনুছ বলেন, সাগর উত্তাল হয়ে উঠায় উপকূলে ফিরে এসেছি। মহেশখালীর জেটিঘাট এলাকায় নোঙর করা ফিশিং ট্রলার মাঝি সৈয়দ আলম বলেন, সাগর উত্তালের পাশাপাশি বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে। তাই মাছ শিকার না করে উপকূলে ফিরে আসি। জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ৪ সংকেত প্রচারের সাথে সাথে সাগরে মাছ ধরারত ফিশিং ট্রলার গুলোকে উপকূলে ফিরে আসতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন ঘাটে অন্তত তিন হাজারের অধিক ফিশিং ট্রলার নিরাপদে ফিরে এসে নোঙ্গর করেছে। এদিকে মহেশখালী উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলার প্রস্তুতি হিসেবে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়াসিন জানান, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে আশ্রয় নেওয়ার জন্য উপজেলার ৯৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।