মহেশখালীতে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও লবণ মাঠে পানি সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে ফেরদৌস প্রকাশ কালাবদা (২৪) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের
ফকিরাঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক ওই এলাকার নুরুন নেচারের পুত্র।
নিহতের জেঠাতো ভাই খাইরুল আমিন বাবুল বলেন, লবণ মাঠের পানি সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে সামান্য কথা কাটাকাটি হয় আমার ফুফাতো ভাই মো. সোবহানের সাথে একই এলাকার আজম খানের পুত্র জাবেদ খানের। পরে আমার ফুফাতো ভাই সোবাহান বড় মহেশখালীর নতুনবাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে জাবেদ ও তার সঙ্গীয় সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাকে জাবেদ খানের বাড়িতে আটকে রাখে। এরপর আমার আরেক জেঠাতো ভাই নিহত ফেরদৌস প্রকাশ কালাবদা তাকে আনতে যায়। তখন জাবেদ ও তার সঙ্গীরা ফেরদৌসকে গুলি করে খুন করে লাশ পার্শ্ববর্তী জমিতে ফেলে রাখে। আমরা খবর পেয়ে তাকে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসীর অপর একটি সূত্র জানান, প্রতিপক্ষ জাবেদ খানের বাড়িতে আটক মো. সোবাহানকে আনতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে জাবেদ খানের পক্ষের ৪ জন আহত হয়। আহতরা হলেন ওয়াসিম (৩০), রাসেল (২৫), সিরাজ মিয়া (৫৫) ও আরিফ বাদশা (২৮)।
প্রতিপক্ষের হামলায় এক যুবক নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাই। তিনি বলেন ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে দ্রুত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।










