মহেশখালীতে টেক্সি থেকে নামিয়ে যুবককে গুলি করে হত্যা

৬ বছর আগে তার পিতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল প্রতিপক্ষ

মহেশখালী প্রতিনিধি | বুধবার , ৭ মে, ২০২৫ at ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ

মহেশখালীতে প্রতিপক্ষের গুলিতে মামুন শরীফ (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গত সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তিনি উপজেলার কালারমার ছড়া ইউনিয়নের ছামিরা ঘোনাহ গ্রামের মৃত মনসুর আলম প্রকাশ রৌসুর পুত্র। ৬ বছর আগে মনসুর আলমকেও প্রতিপক্ষের লোকজন কুপিয়ে হত্যা করেছিল।

স্থানীয়রা জানান, পিতা হত্যার প্রতিশোধ নিতে দিনমজুরের পেশা বাদ দিয়ে মামুন বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে তিনটি হত্যাসহ ১১টি মামলা। সর্বশেষ সোমবার রাতে বাড়ি থেকে ৬ কিমি. উত্তরে মারাক্কা ঘোনাস্থ প্রধান সড়কে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন। পুলিশ খবর পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বদরখালী জেনারেল হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। তবে চমেকে পৌঁছার পূর্বেই পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের বড় ভাই উকিল আহমদ জানান, তার ভাই মামুন মামলায় হাজিরা দেয়ার জন্য দুইদিন আগে কক্সবাজার গিয়েছিল। সেখান থেকে তিন বন্ধুকে নিয়ে গতরাতে সিএনজি টেক্সি যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। তাদের গাড়িটি মারাক্কা ঘোনাস্থ মোজাম্মেলের বাড়ির সামনে পৌঁছালে চারপাঁচ জন লোক সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে তাদেরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে ফেলে। সঙ্গে থাকা বন্ধুদের এক পাশে সরিয়ে রেখে মামুনের ডান পাশে পরপর দুই রাউন্ড গুলি করে সড়কে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। বন্ধুদের ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের লোকজন মামুনকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগ করেন উকিল আহমদ।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কাউছার হামিদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে রাত ৩টায় আহত মামুনকে উদ্ধার করে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশ তার কাছ থেকে জবানবন্দি রেকর্ড করেছে। সেই অনুযায়ী দুষ্কৃতকারী ও তার সঙ্গে থাকা বন্ধুদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাদের গ্রেপ্তারের পর জানা যাবে ঘটনার আসল রহস্য। নিহত মামুনের বিরুদ্ধে ৩টি খুন, ৪টি অস্ত্র ও ৪টি অন্যান্য ধারার মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি কায়সার হামিদ।

এদিকে নিহত মামুন শরীফকে স্থানীয় একটি পক্ষ যুবদল কর্মী বলে দাবি করলেও কালারমার ছড়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব সেলিম মাহমুদ জীবন বলেন, যুবদলের প্রাথমিক সদস্য হিসেবেও মামুনের নাম নেই এবং দলের সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাকে আমরা চিনিও না।

কালারমার ছড়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি শামসুল আলম পিংকি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মামুনকে যুবদলের কর্মী হিসেবে প্রচারণা চালানো হলেও যুবদলের সঙ্গে মামুনের কোনো সম্পর্ক নাই। উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল বলেন, একটি মহল রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে এমন প্রচার করছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্বামীকে হত্যার পর লাশে সুগন্ধি লাগিয়ে ঢেকে রাখা হয় কম্বলে
পরবর্তী নিবন্ধআমাদের স্বার্থে যার সাথে ইচ্ছা, তার সাথে যোগাযোগ করব