কক্সবাজারের পেকুয়ায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শাহাব উদ্দিন (৪০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। অন্যদিকে মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের তেলিপাড়ায় মাদ্রাসা পড়ুয়া কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শাকের উল্লাহ (২৮) নামের এক যুবক গ্রেপ্তার হয়েছেন।
পেকুয়া : গত বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দিরপাড়া এলাকায় গৃহবধূ নিজ বসতঘরে ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত শাহাব উদ্দিন একই এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ভিকটিম বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ মার্চ রাত ৮টার দিকে স্বামী বাড়ি না থাকার সুযোগে বিবাদী কৌশলে বসতবাড়িতে ঢুকে ভিকটিমকে হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় ভিকটিমের দুই মেয়ে দেখতে পেয়ে চিৎকার–চেঁচামেচি করলে স্থানীয় লোকজন বিবাদীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে অবশ্য স্থানীয়দের ভয়–ভীতি দেখিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে সক্ষম হয় বিবাদী।
এদিকে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনাটি পরিকল্পিত ও সাজানো উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করেন অভিযুক্ত শাহাব উদ্দিনের স্ত্রী নুসরাত জাহান আলিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পেকুয়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বামীকে নির্দোষ দাবি করে আলিয়া বলেন, বেশ কয়েক মাস আগে স্থানীয় ফজল কাদেরের সাথে আমার স্বামীর আত্মীয়দের সিএনজি চুরির বিষয় নিয়ে মারামারি হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ বিষয়ে দায়েরকৃত মামলায় ফজল কাদেরকে আসামি করা হয়। মূলত ফজল কাদের ভিকটিমের স্বামী ও ভিকটিমকে হাত করে পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে ফাঁসানোর জন্য ধর্ষণের এ ঘটনার নাটক সাজিয়েছে। আসলে আমার স্বামী একজন নিরীহ দিনমজুর। তিনি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করার দাবি জানান।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে ভিকটিম বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।
মহেশখালী : মহেশখালীতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত শাকের উল্লাহ (২৮) নামের এক যুবককে বৃহস্পতিবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার শাকের একই এলাকার ঈমান আলীর পুত্র।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ জানান, গত ১৯ মার্চ পিতা তারাবির নামাজে ও মা তাদের মুদি দোকানে বেচাকেনা করার সময় ছোটভাইসহ বাড়িতে ঘুমাচ্ছিল স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া কিশোরী। এ সুযোগে অভিযুক্ত শাকের বাড়িতে ঢুকে ঘুমন্ত কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় দীর্ঘক্ষণ ধস্তাধস্তির পর ভুক্তভোগীর চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় শাকের। পরে এ ঘটনায় কিশোরীর মা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শাকের উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।