মহেশখালীতে শ্বশুরবাড়ির নিজ কক্ষ থেকে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম জিসমা মনি কাজল (১৭)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের লম্বাঘোনা গ্রামের তিনতুলা গাছ নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন এটাকে আত্মহত্যা বললেও কাজলের মায়ের দাবি যৌতুক ও শীতপিঠা না পেয়ে তার মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
কাজলের মা হামিদা বেগম জানান, ৭ মাস আগে রাবাইয়াত ওরফে রুবেলের (২৫) সাথে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। সে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। বিয়ের পর থেকে নানা বাহানায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েকে যৌতুকের জন্য চাপ দিত। গত সপ্তাহে সমিতির ঋণ পরিশোধ করার জন্য আমার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা চেয়েছিল রুবেল। এছাড়া আমার মেয়ে বলেছিল শ্বশুরবাড়িতে শীত পিঠার জন্য ৫ হাজার টাকা না দেওয়ায় শাশুড়ি তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। টাকা ও শীতপিঠা দিতে না পারায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।
এলাকাবাসী জানান, দুপুর ২টার সময় বাড়িতে তার ছোট দেবর দরজা বন্ধ দেখে বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকির পর ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখলে প্রতিবেশী লোকজনকে ডাকেন। এক পর্যায়ে তারা জানালা ভেঙে তার ঝুলন্ত দেহ মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কাইছার হামিদ জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্ত করতে লাশ কঙবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা।