শাহসুফি সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর (ক.) ৩৭তম উরশ ও মুনাওয়ারা বেগমের (রহ.) বেছাল দিবস স্মরণে র্যালি, আলোচনা সভা, পোশাক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান গত সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। ফটিকছড়ি ভান্ডার শরীফের আজিমনগরস্থ উম্মুল আশেকীন মুনাওয়ারা বেগম এতিমখানা ও হেফজখানার উদ্যোগে ও এস জেড এইচ এম ট্রাস্ট’র ৮ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার সকাল ৮টায় শিক্ষার্থীদের র্যালির মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। র্যালিটি প্রতিষ্ঠানটির আবাসিক ভবন থেকে শুরু হয়ে মাইজভাণ্ডার শরীফের প্রধান প্রধান রওজা জিয়ারতের পর শাহসুফি সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ও উম্মুল আশেকীন মুনাওয়ারা বেগমের (রা.) মাজারে খতমে কোরআন, মিলাদ– ক্বিয়াম ও মোনাজাত শেষে আজিমনগরস্থ আবাসিক ভবনে ফিরে আসে।
সকাল ১০টায় কোষাধ্যক্ষ মকসুদুর রহমান হাসনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা এবং পোশাক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক–সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং মো. শাহজাহান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফটিকছড়ির রাজনীতিবিদ সরওয়ার আলমগীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফটিকছড়ি উপজেলার সহকারী সমাজসেবা অফিসার আমিন উল্লাহ, সৈয়দ মোরশেদুল আমিন, সৈয়দ সাকলাইন মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার রিয়াদ মোর্শেদ, ডা. সামিয়ুল করিম, জালাল উদ্দিন প্রমুখ। আলোচক ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান হাফেজ আবুল কালাম ও মাদ্রাসা–এ–গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারীর প্রভাষক মাওলানা মুজিবুল হক। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মহিয়সী মুনাওয়ারা বেগমের (রহ.) জীবনাদর্শ সকলের জন্য অনুকরণীয়। তার জীবনাদর্শ ধারণের মাধ্যমে দুনিয়াবী শান্তি ও পরকালীন মুক্তি অর্জন সম্ভব। বর্তমান পারিবারিক ও সামাজিক অবক্ষয়ের ক্লান্তিলগ্নে পরিবার ও সমাজকে নৈতিকতার অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে নারী সূফিগণের জীবনী অনুসরণ প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, আবুল হাশেম, মাহবুল আলম চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন শাহীন, শাহরিয়া চৌধুরী, বলাই কুমার আচার্য্য, শাফায়াত হোসেন, নুরুল করিম চৌধুরী, শফিউল আজম চৌধুরী, রাশেদ আলী, হাফেজ মহি উদ্দিন, হাফেজ মোবারক হোসেন ও হাফেজ আবু হানিফ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।