মহীয়সী নারী : যাঁরা আমাদের পথনির্দেশক

সঞ্চিতা তালুকদার | শনিবার , ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৬:১০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের প্রথিতযশা কয়জন মহীয়সী নারী শ্রদ্ধার সাথে অবদান রেখে গেছেন বর্তমান নারী সমাজের আলোকিত পথনির্দেশনায়, তাঁর মধ্যে কবি, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সংগ্রামী নারী জাগরণের অগ্রদূত বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতার পুরস্কারপ্রাপ্ত সর্বজন শ্রদ্ধেয় মহীয়সী সুফিয়াকামাল। তিনি ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে ইন্ডিয়ান উইমেন্স ফেডারেশনের এর প্রথম মহিলা সদস্য মনোনীত হয়। সাহিত্যক্ষেত্রে নারীদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন সাপ্তাহিক ‘বেগম’ প্রকাশের পরিকল্পনা নেন। শহিদ জননী জাহানারা ইমামকে অন্তরের গভীর থেকে শ্রদ্ধা জানাই এই জন্য তিনিও নারীদের অনুপ্রেরণার পথপ্রদর্শক। শহীদ জননী মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন দুটি কারণে তাঁর একটি হল বাংলাদেশে যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হারিয়ে যেতে বসেছিল ঠিক সেই সময় তিনি মানুষের মনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগ্রত করতে পেয়েছিল, অন্যটি হল ‘একাওরের দিনগুলো’ বইটি লিখার জন্য।

বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে শ্রদ্ধা। তিনি ছিলেন ঊনবিংশ শতকের একজন বাঙালি নারী, যিনি স্বকীয় সত্তায় বিকশিত অগ্রপথিক। আজো নারীরা সমধিকার থেকে বঞ্চিত; নারী শিক্ষা ব্যবস্থা, পারিবারিক নারী অধিকার ও নারীমুক্ত স্বাধীনতার জন্য আজো প্রতিবাদ লড়াই চলছে। বিশেষত আমাদের দেশে উচ্চ শিক্ষিত পুরুষ শৃঙ্খল থেকে শিক্ষিত নারীরা মুক্ত স্বাধীন নয়, আত্ন সম্মানের জন্য মুখ বুঁজে মানিয়ে যায়। এজন্য তাঁর আদর্শ আমাদের জন্য পাথেয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমায়ের ভূমি সাক্ষ্য দেয়
পরবর্তী নিবন্ধসন্দ্বীপ নদী বন্দর : দ্বীপবাসীর প্রত্যাশা