বোয়ালখালীতে একটা পাগলা মহিষের গুঁতায় প্রাণ হারিয়েছেন এক লেবু ব্যবসায়ী। অপরদিকে ইলেক্ট্রিক লাইট জ্বালিয়ে পুকুরে মাছ ধরার সময় বৈদ্যুতিক স্পৃষ্টে নিহত হয়েছেন এক প্রবাসী। গতকাল শনিবার ও আগের রাতে উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ও পৌর এলাকার পশ্চিম গোমদণ্ডীতে মর্মান্তিক এ দুই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী ও নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্টপুরা গুচ্ছগ্রাম বাজার এলাকার মৃত আবদুল বারেকের ছেলে লেবু ব্যবসায়ী মো. আব্দুল গফুর (৪৫) গতকাল শনিবার দুপুরে বাজারে নিজ দোকানের সামনে কাজ করছিলেন। এ সময় পেছন থেকে
একটা পাগলা মহিষ সজোরে গুতা মারে তাকে। এতে মহিষের শিং তার পেট ও বুকে ঢুকে এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ব্যবসায়ী এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক। পাহাড়ে লেবু বাগান করে ও তা বিক্রি করে সংসার চালাতেন তিনি।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ইলেক্ট্রিক লাইট লাগিয়ে মাছ ধরছিলেন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরখিদিরপুর গাজী বাড়ির এনামুল হক (২৭) নামের এক প্রবাসী। মাছ ধরা শেষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে লাইট খুলতে গিয়ে গুরুতরভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক চমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক রাত ৯টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত এনামুল ওই এলাকার আজিজুল হকের একমাত্র ছেলে। বছর-দেড়েক আগে বিয়ে করা এনাম ৩ মাস বয়সী এক শিশু পুত্র সন্তানের জনক।