দুধের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেকস্থ মহাসড়কসহ চট্টগ্রামের ১৮টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন খামারিরা। রোববার দুপুরে উপজেলার মইজ্জ্যারটেক মহাসড়কের আখতারুজ্জামান চত্বরে বিক্ষোভ করে দুধ ঢেলে এ প্রতিবাদ করেন খামারিরা। এসময় চট্টগ্রাম জেলা ডেইরি ফার্মার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি নাজিম উদ্দিন হায়দার, সহ-সভাপতি নেভী মো. হারুন, কর্ণফুলী ডেইরি ফার্মার্স এসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফোরকান, সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন রোকন, খামারি মোহাম্মদ নুর, জাকেরিয়া, মো. মাসুদ, মো. সোহেল, মো. নুরুদ্দিন, মো. হাম্মাদ, কামরুল ইসলাম, মো. রফিকসহ পটিয়া ও কর্ণফুলী উপজেলার শতাধিক খামারি উপস্থিত ছিলেন। খামারিরা জানান, করোনাকালীন গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি খামারের আনুষঙ্গিক জিনিসের দাম বেড়েছে। ফলে খামারিরা বাছুর বিক্রি করে গো-খাদ্য সরবরাহ করছেন। মিষ্টির দোকান ও কোম্পানিগুলো সিন্ডিকেট করে দুধের দাম কম দেওয়ার কারণে দুধ নালা ও মহাসড়কে ঢেলে এ প্রতিবাদ জানিয়েছেন। জানা গেছে, পুরো চট্টগ্রামে প্রায় ১০ হাজার দুগ্ধ খামার রয়েছে। খামারিরা দুধ বিক্রি করে পরিবার চালান। গো-খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক পণ্যের দাম বাড়ার কারণে সম্প্রতি খামারিরা বিপাকে পড়েছেন। দুধের দাম ৬০ টাকা ও পরিবহন খরচ ৩ টাকা নির্ধারণ করলেও মিষ্টি কোম্পানিগুলো তা মানছে না। খামারিদের নির্ধারিত দাম দিতে ডেইরি ফার্মার্স এসোসিয়েশন গত ৩ নভেম্বর মিষ্টির দোকান ও কোম্পানিগুলোকে একটি চিঠিও দেয়। এতে তারা সাড়া দেননি। ফলে আন্দোলনের অংশ হিসেবে খামারিরা দুধ ঢেলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলা ফার্মার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি নাজিম উদ্দিন হায়দার বলেন, বিগত ৭ বছর ধরে দুধের দাম বাড়ানো হয়নি। দাম বাড়াতে দোকানি কোম্পানিদের একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা এর জবাবও দেননি। তিনি বলেন, খামারিদের নির্ধারণ করা দুধের দাম ৬০ টাকা ও পরিবহন খরচ ৩ টাকা কার্যকর না হলে মিষ্টির দোকান-কারখানায় দুধ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। ভোর ৫ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে পাহারা বসানো হয়েছে। যাতে করে মিষ্টির দোকান কারখানাতে দুধ যেতে না পারে।












