সীতাকুণ্ডে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে সক্রিয় ডাকাত দলের ১০ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব–৭, চট্টগ্রাম। সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট কালুশাহ মাজার সংলগ্ন মহাসড়কের ন্যানো ফ্যাক্টরি কর্পোরেশনের কাছে অভিযান চালিয়ে গত শুক্রবার রাত সোয়া ১২টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। খবর বাসসের।
জানা যায়, কতিপয় দুষ্কৃতকারী ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফৌজদারহাট কালুশাহ মাজার সংলগ্ন মহাসড়কের আশেপাশে অবস্থান নিয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে র্যাবের একটি অভিযানিক দল ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বাঁশাখালী থানার বাড়িগ্রামের মৃত ওসমান আলীর পুত্র নুরে আলম (২৬), নোয়াখালী সুধারামের আব্দুল আলীর পুত্র হায়দার আলী (২৬), আনোয়ারা মধ্যম বারখাইনের শীতল মজুমদারের পুত্র রিমন মজুমদার (২২), বাগেরহাট মোড়লগঞ্জের মো. শমসের আলমের পুত্র রবিউল প্রকাশ রুবেল (২৪), বাঁশখালী বাহারছড়ার কামরুল ইসলামের পুত্র মামুন (২২), বন্দর থানা আনন্দ বাজারের মো. আনোয়ার হোসেনের পুত্র বাদশা (২৮), হালিশহর সুন্দরীপাড়ার আব্দুল হাকিমের পুত্র শামীম (২৬), বন্দর কলশি বড়পুলের মো. লোকমানের পুত্র রাকিব (২৬), নোয়াখালী চাটখিলের মো. ইব্রাহিমের পুত্র শাহাদৎ (২৫) ও সীতাকুণ্ড পাক্কারমাথার নুরন্নবীর পুত্র মোর্শেদ খান প্রকাশ হৃদয়কে (২৪) আটক করা হয়। পরে আটক আসামিদের হেফাজতে থাকা এবং তাদের নিজ হাতে বের করে দেয়া দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি এবং ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়।
আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা মহাসড়কে ডাকাতির সাথে জড়িত। এ দলের বেশিরভাগ সদস্যই চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। তারা জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় ডাকাতি করতে জড়ো হয়েছিল। পবিত্র ঈদ–উল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখী সাধারণ মানুষের চলাচলের স্থানে পথচারীকে আটক করে ছিনতাই/ডাকাতি করে থাকে বলে নিজ মুখে স্বীকার করেছে আটকরা। গ্রেপ্তার আসামি এবং উদ্ধারকৃত আলামত পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
