চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের হাটহাজারী-রাউজান চার লেইন সড়ক প্রকল্প কাজ পরিদর্শন করেছেন রেলপথ মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। তিনি গত মঙ্গলবার রাউজান অংশে চলমান কাজের গতি প্রকৃতি ঘুরে দেখেন। কাজের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে কিছু নিদের্শনা প্রদান করেন। হাটহাজারী থেকে রাউজানের শেষ সীমানা ঢালারমুখ পর্যন্ত এই মহাসড়কটি চার লেইন করা হচ্ছে ৫২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড(এনডিই) ও স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড নামের দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী জানিয়েছে, সড়ক পথের বিশেষ বিশেষ স্থানে নির্মিত ডিভাইডারে লাগানো হবে উন্নত জাতের খেজুর গাছ। ইতিমধ্যে খেজুরের চারা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। মহাসড়কের রাউজান অংশে সাংসদ গড়ে উঠছে বিসিক শিল্পনগরী। এখানে ৭০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সড়ক পাশে রয়েছেন পিংক সিটি-১, খাদ্য গুদাম,পর্যটকদের জন্য গিরীছাড়া রির্সোট,মিনি চিড়িয়াখানা, পলিটেকনিক্যাল কলেজ, কারগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। আছে রাউজান সরকারি কলেজ, গহিরা কলেজসহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, করা হচ্ছে ট্রমা সেন্টার। শত শত ভারি যানবাহনের চাপে থাকা এই মহাসড়কটি চার লেইন হতে চলায় দুঘর্টনা অনেকাংশে কমে আসবে বলে তার বিশ্বাস।
রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল বলেছেন, এই সড়ক পথে প্রতিদিন পার্বত্য জেলায় যাওয়া আসা করে দেশি বিদেশি অনেক পর্যটক, সামরিক বেসামরিক ভিআইপি। কাপ্তাই হ্রদের মাছ, প্রচুর পরিমাণ পাহাড়ে উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্যবাহী ট্রাকের পাশাপাশি জেলার গাছ,বাঁশ পরিবহন করে অসংখ্য ট্রাক। রাতে দিনে চলে আন্তজেলা যাত্রীবাহী বাস। সরকার জাতীয় এই মহাসড়কটির গুরুত্ব অনুধাবন করে চার লেইন করায় এঅঞ্চলের মানুষ খুশি। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায় হাটহাজারী থেকে ১৮.৩০ কিলোমিটার এই সড়ক পথটি বর্তমানে প্রস্ত আছে ৫.৫০ মিটার। চার লেইন প্রকল্পের আওতায় এই সড়ক পথটি এখন করা হচ্ছে ১৫.১৮ মিটার। এই প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা বয়েছে ২০২১ সালে।