ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ককে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে আইনশৃংখলা বাহিনী সংযোজন করা হলেও কমছে না দুর্ঘটনা। বরং উৎকন্ঠাই বাড়ছে কিছু বাইক চালকদের বেপরোয়া রাইডিং। গত ৬ মাসে মহাসড়কের মীরসরাই অংশে তথা ফেনী থেকে সীতাকুণ্ডের শেষ প্রান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে অন্তত ১০টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ২৫ জন নিহত হয়েছেন।
জানা যায়, সম্প্রতি মহাসড়কের কমলদহ এলাকায় ট্রাকের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয়েছে দুই চাচাতো ভাইসহ ৩ মোটরসাইকেল আরোহী তরুণ। গত ২১ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে পাঁচটায় মীরসরাই উপজেলার মিঠাছড়া টু বামনসুন্দর দারগারহাট রোডের ঈদগাহের সামনে বালু বোঝাইকারী ট্রাকের সঙ্গে বাইকের সংঘর্ষে এক বাইক আরোহী মর্মান্তিকভাবে নিহত হয়। নিহত যুবক মো: হাসান শাহজিবাজার এলাকার সারেং বাড়ির নিজাম উদ্দিনের পুত্র। গত ৪ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোটকমলদহ ইউটার্নে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গত ১১ নভেম্বরও মহাসড়কের ছোট কমলদহ চট্টগ্রাম ফিড মিলের উত্তর পাশে মোটরসাইকেল আরোহী বাসু দেব (৩৬) নিহত হন। এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের জোরারগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার নিয়ন্ত্রনাধীন হাইওয়ে এলাকায় বাইক দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেক কম। তবুও আরও কঠোরভাবে গতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করবো। এ বিষয়ে মীরসরাই থানার ওসি শাহিদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, এভাবে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি সত্যিই অনেক উদ্বেগজনক। সকল বাইকারকেই লাইসেন্স, হেলমেটসহ গতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কঠোর নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয়া হবে।