পটিয়ায় মহাসড়কের পাশে বাহুলী এলাকায় পৌরসভার ময়লার ভাগাড় সরাতে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়েছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়ে মহাসড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি ঘোষণার হুুঁশিয়ারি দেন তারা। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর স্থানীয়রা ময়লার ভাগাড় এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ সময় স্থানীয়রা ২০ মিনিট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে সড়কের দুপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন ডা. এমদাদুল হক, নুরুল ইসলাম টিপু, নুরুল আলম, নাজুমল হাসান রানা, কামাল মেম্বার, কাজী আমজাদ, রবিউল হাসান সৌরভ, মোহাম্মদ নঈমুল ইসলাম, মুসা, নাজিম, কাজী সাজু, কাজী মাসুদ, কাজী মনি, প্রদিপ, কাজী জাহাঙ্গীর, মো. ফারুক, কাজী নিয়াজ, হাফেজ বোরহান, আবু ছালেহ আঙ্গুর, কাজী শাকিল প্রমুখ।
বক্তব্যে এলাকাবাসী বলেন, চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে পটিয়া পৌর কর্তৃপক্ষের এভাবে নিয়মিত ময়লা ফেলার মাধ্যমে পৌরসভার বাহুলী এলাকাকে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে। এটা সভ্য সমাজে কোনভাবে মেনে নেয়া যায় না। ময়লার ভাগাড়ের কারণে পুরো এলাকায় একদিকে ব্যাপক দুর্গন্ত অন্যদিকে প্রতিনিয়ত সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা ময়লার ভাগাড়ে আগুন ও ধোয়ার কারণে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে। পরিবেশ দূষণের কারণে আশপাশে গাছপালা মরে যাচ্ছে। পশুপাখির বিচরণ নেই বললেই চলে। পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, এলাকাবাসীকে ময়লার ভাগাড়ের জন্য স্থান ঠিক করে দিতে। পৌরসভার ময়লার ভাগাড়ের স্থান ঠিক করার দায়িত্ব কি এলাকাবাসীর?
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পৌরসভার বাহুলী এলাকায় প্রাইমারি ট্রেনিং সেন্টার, শাহচান্দ আউলিয়া কামিল মাদ্রাসা, ফায়ার সার্ভিস, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পটিয়ার একমাত্র খ্রিস্টান উপসনালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের পাশেই এভাবে পরিবেশ দূষণ কীভাবে করতে পারে তা পৌর কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহি করতে হবে। এ এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় ধোয়া ও দুর্গন্ধের কারণে শিক্ষার্থীসহ যাত্রীদের দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ ভাগাড় না সরালে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়ার ঘোষণা দেন এলাকাবাসী।