পর্যাপ্ত চিকিৎসকসহ জনবল সংকট ও জরাজীর্ণ ভবনের কারণে ব্যাহত হচ্ছে খাগড়াছড়ির মহালছড়ির উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের কার্যক্রম। ঝুঁকিপূর্ণ হাসপাতাল ভবনে আতঙ্কে থাকেন চিকিৎসক, নার্সসহ রোগীরা। ভবনে ফাটল, পাশাপাশি ঝরে পরছে ছাদের পলেস্তরা। ৫০ বছরের পুরানো এই হাসপাতালের জরাজীর্ণ অবস্থায় আতঙ্কিত হয়ে সেবা না নিয়েই ফিরে যাচ্ছে অনেকে। দ্রত অবকাঠামোর উন্নয়ন, চিকিৎসক ও জনবল নিয়োগ করে সেবার মান উন্নত করার দাবি স্থানীয়দের।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী শাহজাহান মিয়া ও ফয়সাল বলেন, এখানে সেবা নিতে এসে দেখি ভয়াবহ অবস্থা। বিল্ডিংয়ের অবস্থা খুবই খারাপ। মাথার উপর থেকে ছাদের পলেস্তরা খসে খসে পড়ছে। এখানে চিকিৎসা নিচ্ছি কিন্তু ভয়ও পাচ্ছি। কখন যে মাথার উপর ভেঙে পরবে! নতুন হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করা খুব জরুরি।
৩১ শয্যার এ হাসপাতালে ১৪ জন চিকিৎসক এবং ১১ জন নার্স থাকার কথা থাকলেও প্রতিদিন দিনে সেবা দিচ্ছেন মাত্র ৪ জন চিকিৎসক ও ৪ জন নার্স। মহালঠছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, আমাদের ভবনটি ’৭৯ সালের। ভবনের অবস্থা খুবই খারাপ। ছাদের নিছের অংশটি খসে পড়ছে। যেকোনো সময় বড় কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাছাড়া আমাদের ডাক্তার, নার্সসহ টেকনিশিয়ানের অভাব।
সংকট নিরসনে জনবল নিয়োগ ও নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে জানিয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. ছাবের বলেন, জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙগুলোর মধ্যে মহালছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেঙটি অনেক পুরোনো। সিনিয়ার নার্স ও ডাক্তাররা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় কাজ করছেন। এ বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অবহিত করেছি। আমাদের আশ্বস্ত করেছেন ভবনের কাজ ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করবেন। জেলায় মাত্র দুইজন এঙরে টেকনিশিয়ান আছেন। আমরা চেষ্টা করছি দুইজনকে শিফটিং ডিউটির মাধ্যমে অন্যান্য উপজেলাগুলোতে সেবা দিতে।