চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বক্তারা বলেছেন, ১৯৭৯ সালে আন্তর্জাতিক শিশু বর্ষ উপলক্ষে অত্যন্ত ক্ষুদ্র পরিসরে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল তার যাত্রা শুরু করে। হাঁটি হাঁটি পা পা করে আজ এটি দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারী হাসপাতাল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। গতকাল শনিবার হাসপাতালের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার সকালে খতমে কোরআন, বাদ জোহর হাসপাতাল কেন্দ্রিয় জামে মসজিদে আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও হাসপাতাল কেন্দ্রিয় মসজিদ বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান খায়েজ আহমেদ ভূঁইয়া, পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. নূরুল হক, উপ–পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন, উপ–পরিচালক (ফিন্যান্স) মো. মনজুরুল আলম চৌধুরী, উপ–পরিচালক (মেডিকেল এ্যাফেয়ার্স) ডা. এ কে এম আশরাফুল করিম, উপ–পরিচালক (প্রশাসন, আইসিএইচ) ডা. মো. আবু সৈয়দ চৌধুরী, আজীবন সদস্য মো. কামাল উদ্দিন প্রমুখ। সভায় হাসপাতালের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত যারা বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন, হাসপাতালের উন্নয়নে বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছেন তাদের সকলের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাসপাতাল মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. জসিম উদ্দিন।
সভায় বক্তারা বলেন, করোনার সময় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় যেভাবে এগিয়ে আসে তা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। করোনার সময় আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন হাসপাতাল ভবনে করোনা ইউনিট চালু করা হয় এবং করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা শুরু করা হয়। করোনা ইউনিটের জন্য আলাদাভাবে নিয়োগ দেওয়া হয় ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য জনবল। সে সময় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন যা সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে সর্বমহলে ব্যাপক ভাবে প্রশংসিত হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।