মহাকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বল আলোর ঝলকানি বিস্মিত জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা

| রবিবার , ১৬ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:৩৫ পূর্বাহ্ণ

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পৃথিবী থেকে ২৪০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে একটি আলোর উজ্জ্বলতম ঝলকানি পর্যবেক্ষণ করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, একটি ব্ল্যাক হোল গঠনের ফলে আলোর এ ঝলকানি উদ্ভূত হয়েছিল।
এটি গামা-রশ্মির বিস্ফোরণ এবং ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ। প্রথম ৯ অক্টোবর এটি একটি ঘূর্ণমান টেলিস্কোপে শনাক্ত করা হয়েছিল এবং মহাকাশে এর আফটারগ্লো বা রক্তিম আলোর বিচ্ছুরণ এখনও সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা দেখছেন। খবর বাসসের।
জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী ব্রেন্ডন ও’কনর এএফপি’কে বলেছেন, গামা-রশ্মি বিস্ফোরণটি কয়েক’শ সেকেন্ড স্থায়ী হয়, গত ৯ অক্টোবর এটি টেলিস্কোপে ধরা পড়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে আমাদের সূর্যের চেয়ে ৩০ গুণেরও বেশি বড় একটি নক্ষত্রের মৃত্যু ঘটছে।
তারাটিতে একটি সুপারনোভা বিস্ফোরণ ঘটে এবং একটি ব্ল্যাক হোলে ভেঙে পড়ে। তারপর ব্ল্যাক হোল ঘিরে চারপাশে একটি ডিস্ক তৈরি করে ভিতরে পতিত হতে থাকে এবং একটি শক্তির জেট বেরিয়ে যায়, যা আলোর গতির ৯৯.৯৯ শতাংশ বেগে ছড়িয়ে পড়ে। ও’কনর বলেন, এই উজ্জ্বলতার কাছাকাছি কিছু একটা আছে। সত্যিই এটি শতাব্দীর একটি বড় ঘটনা। সাধারণভাবে গামা-রশ্মি বিস্ফোরণে একই পরিমাণ শক্তি নির্গত হয় যা কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে আমাদের সূর্যের সমগ্র জীবনকালের সমান শক্তি উৎপন্ন করে এবং এই ঘটনাটি সবচেয়ে উজ্জ্বল গামা রশ্মির বিস্ফোরণ।
গত রোববার টেলিস্কোপে ধরা পড়া এই গামা-রশ্মি বিস্ফোরণ ‘জিআরবি ২২১০০৯এ’ নামে পরিচিত, ইস্টার্ন টাইম রোববার সকালে নাসার ফার্মি গামা-রে স্পেস টেলিস্কোপ, নীল গেহরেলস সুইফ্‌ট অবজারভেটরি এবং উয়িন্ড স্পেসক্রাফটসহ বিভিন্ন টেলিস্কোপে প্রথম দেখা যায়। এটি সাগিট্টা নক্ষত্র মন্ডলের দিক থেকে উদ্ভূত হয়েছে এবং পৃথিবীতে পৌঁছানোর জন্য এই গামা রশ্মি আনুমানিক ১.৯ বিলিয়ন বছর ভ্রমণ করেছে। যা তার সূচনা বিন্দুর বর্তমান দূরত্ব থেকে কম, কারণ মহাবিশ্ব প্রসারিত হচ্ছে। এখন ইভেন্টটি পর্যবেক্ষণ জ্যোতির্বিজ্ঞানীদেরকে ব্ল্যাক হোল গঠনের মতো বিষয়গুলিতে নতুন অন্তর্দৃষ্টি খুলে দেয়ার একটি বিরল সুযোগ করে দেবে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এ ধরনের গামা বিষ্ফোরণ কখনো পৃথিবীর বিলুপ্তির কারণ হতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইস্টার্ন রিফাইনারিতে অগ্নিকাণ্ড
পরবর্তী নিবন্ধপাওনা বকেয়া, ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধের আল্টিমেটাম